সংক্ষিপ্ত
টোকিও অলিম্পিকে কুস্তুতে রূপো জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন রবি কুমার দাহিয়া। রবির পদকে নতুন করে আশার আলো দেখছে তার গ্রাম। গ্রামে হবে সামগ্রিক উন্নয়ন আশা নহরি হরিয়াণার নহরি গ্রাম।
ছোট বেলা থেকেই অলিম্পিকে পদক জয়ের স্বপ্ন দেখতেন রবি কুমার। বহু ঘাত-প্রতিঘাত- লড়াই-সংগ্রাম, চড়াই-উৎরাইয়ের পর অবশেষে টোকিও অলিম্পিকে স্বপ্নপূরণ হয়েছে ভারতীয় কুস্তিগীরের। সোনা জয়ের স্বপ্ন পূরণ না হলেও, রূপো জিতে গোটা দেশকে গর্বিত করেছেন রবি কুমার দাহিয়া। সুশীল কুমারের পর দ্বিতীয় কুস্তিগীর হিসেবে অলিম্পিক্সে রূপো জিতেছেন রবি। রবির সাফল্যে এবার উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছে হরিয়াণার প্রত্যন্ত গ্রাম নহরি।
হরিয়াণার নহরি গ্রামের কথা জানলে অবাক হবেন আপনিও। ভাববেন একবিংশ শতাব্দীতেও এইভাবে জীবন কাটানো আদৌ কী সম্ভব। হরিয়াণার প্রত্যন্ত গ্রাম নহরিতে ১৫ হাদার মানুষের বসবাস। না আছে সঠিক পানীয় দলের ব্যবস্থা, না আছে সঠিক পাকা রাস্তা, চিকিৎসা ব্যবস্থার হালও তথৈবচ। গ্রামের নিকটবর্তী কোনও হাসপাতাল পর্যন্ত নেই। হাসপাতাল বলতে সেই সোনপথে। আর বিদ্যুৎ থাকে সারা দিনে ৮ ঘণ্টা। সকালে ২ ঘণ্টা ও রাতে ৬ঘণ্টা। রবি কুমারের ম্যাচগুলির দিন সেই সময় গ্রামে বিদ্যুই সংযোগ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃপ্রথমবার গল্ফে পদক জয়ের সুযোগ, ইতিহাসের তৈরির হাতছানি অদিতি অশোকের
আরও পড়ুনঃফুটবল বিশ্বে এক যুগের অবসান, বার্সেলোনা নয় আগামি মরসুমে নতুন ক্লাবে খেলবেন মেসি
আরও পড়ুনঃবার্সেলোনায় ২১ বছরে মেসির ২১ রেকর্ড, যা অবাক করবে আপনাকে
রবি কুমারকে অলিম্পিকে সাফল্যের পর কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি হরিয়াণা সরকারও নগদ মোটা অঙ্কের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। ৪ কোটি টাকা দিচ্ছে মনোহর লাল খট্টর সরকার। রবির বাবা রাকেশ দাহিয়া জানিয়েছেন,'এবার মনে হচ্ছে আমাদের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। জলও পর্যাপ্ত পেয়ে যাবে। আশা করছি রবির পদকের পর আমারা ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পেয়ে যাব। গ্রামের উন্নয়ন হবে।' ফলে রবি কুমারের রূপো নতুন করে জীবন বদলের স্বপ্ন দেখাচ্ছে নহরি।