সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশে 'কোটা' নিয়ে আন্দোলনের জেরে ক্ষমতা হারিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু অলিম্পিক্সে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সেই কোটার উপরেই নির্ভরশীল বাংলাদেশ। প্যারিস অলিম্পিক্সে বাংলাদশের যে পাঁচজন অ্যাথলিট যোগ দেন, তাঁদের মধ্যে শুধু সাগর ইসলাম। বাকি চারজন ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রির মাধ্যমে অলিম্পিক্সে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান। বাংলাদেশের কোনও অ্যাথলিটই ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। কেউই পদক জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেননি। ফলে একরাশ হতাশা নিয়েই প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাদেশের অ্যাথলিটদের। বাংলাদেশে এখন যে অস্থির পরিস্থিতি, তাতে অলিম্পিক্সে ব্যর্থতা নিয়ে ভাবার অবকাশ কারও নেই। তবে ভবিষ্যতেও যে অলিম্পিক্সে ভালো পারফরম্যান্সের জন্য চেষ্টা করবে বাংলাদেশে, সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।
অলিম্পিক্সে কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে বাংলাদেশ?
এখনও পর্যন্ত ১০ বার অলিম্পিক্সে যোগ দিয়েছেন বাংলাদশের অ্যাথলিটরা। এখনও পর্যন্ত সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করেছেন মাত্র দুই অ্যাথলিট। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক্সে প্রথমবার বাংলাদেশের অ্যাথলিটদের মধ্যে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করেন সিদ্দিকুর রহমান। এবার দ্বিতীয় বাংলাদেশী অ্যাথলিট হিসেবে সরাসরি অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেন সাগর। বাকিরা সবাই ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি পেয়েছেন। বাংলাদেশের যুবসমাজ কি এবার অলিম্পিক্সে 'কোটা' বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন করবে? না কি এক্ষেত্রে সুবিধাবাদী আচরণই দেখা যাবে?
অলিম্পিক্সের ইতিহাসে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কেমন?
অলিম্পিক্সে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনও অ্যাথলিটই পদক জিততে পারেননি। ১৯৮৪ সালে প্রথমবার অলিম্পিক্সে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান বাংলাদেশের অ্যাথলিটরা। তারপর থেকে গত চার দশকে বিন্দুমাত্র উন্নতি করতে পারেননি বাংলাদেশের অ্যাথলিটরা। এবার প্যারিস অলিম্পিক্সেও শুরুতেই বিদায় নেন বাংলাদেশের অ্যাথলিটরা। তবে লজ্জাজনক পারফরম্যান্সে অভ্যস্ত বাংলাদেশের কোনও হেলদোল নেই।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
অলিম্পিক্সে রেকর্ড গড়ে সোনা জয় পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিমের, রুপো নীরজ চোপড়ার
কুস্তির সেমি-ফাইনালে আত্মসমর্পণ আমন সেহরাওয়াতের, অনায়াস জয় জাপানের রেই হিগুচির