সংক্ষিপ্ত
ভারতীয় ক্রীড়ার সঙ্গে দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে যুক্ত বিখ্যাত স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট প্যাডি আপটন। তিনি বিভিন্ন খেলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মানসিক জোর বাড়াতে সাহায্য করছেন।
২০১১ সালে ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্যারিস অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় পুরুষ হকি দলকেও সাহায্য করেছিলেন। এবার দাবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড গড়া ডি গুকেশেরও মানসিক জোর বাড়াতে সাহায্য করলেন বিখ্যাত স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট প্যাডি আপটন। দাবা খেলায় মস্তিষ্কই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে দাবা খেলার সময় মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকা অত্যন্ত জরুরি। গুকেশকেও মানসিকভাবে শক্তিশালী, তরতাজা থাকতে সাহায্য করেছেন আপটন। তাঁর সাহায্য পেয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালীন মানসিকভাবে সবল থাকতে সক্ষম হন গুকেশ। তিনি চাপের মুখে ভেঙে না পড়ে প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার ফাইনালেও সেভাবেই শেষমুহূর্তে জয় ছিনিয়ে নিলেন গুকেশ।
কীভাবে গুকেশকে সাহায্য করেছেন আপটন?
গত ৬ মাস ধরে গুকেশকে দাবা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করেছেন আপটন। তিনি এই দাবাড়ুকে মানসিকভাবে তৈরি করার পাশাপাশি আবেগ নিয়ন্ত্রণে আনার কৌশলও শিখিয়েছেন। কীভাবে চাপ সামাল দিতে হয়, ম্যাচ চলাকালীন আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, লক্ষ্যে স্থির থাকতে হয়, সেসব শিখিয়েছেন আপটন। গুকেশ জানিয়েছেন, তিনি অতীতে কোনও প্রতিযোগিতা চলাকালীন অনেকবার রাতে ঘুমোতে পারেননি। আপটনের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি ভালো করে ঘুমোতে শিখেছেন। এর ফলে তিনি উপকৃত হয়েছেন।
ট্রেনারেরও সাহায্য পেয়েছেন গুকেশ
গত ২ বছর ধরে গুকেশকে সাহায্য করেছেন পোল্যান্ডের গ্র্যান্ডমাস্টার গ্রেজর্জ গেজেওস্কি। তিনিই গুকেশের প্রধান ট্রেনার। পোল্যান্ডের এই দাবাড়ু গুকেশকে কৌশল তৈরি করার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন। গুকেশ কীভাবে খেলা শুরু করবেন, সে বিষয়েও সাহায্য করেছেন গেজেওস্কি। তাঁর সাহায্য পেয়ে চিনা দাবাড়ু ডিং লিরেনের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে জয় পেলেন গুকেশ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
সর্বকনিষ্ঠ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, চিনা দাবাড়ুকে উড়িয়ে নতুন ইতিহাস রচনা গুকেশের
দাবা বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাগনাস কার্লসেনের বিরুদ্ধে লড়াই করেও হার প্রজ্ঞানানন্দর
দাবা অলিম্পিয়াডে ব্যক্তিগত বিভাগে সোনা জয়, বাজিমাত গুকেশ ডি এবং নিহাল সারিনের