সংক্ষিপ্ত
ইউসুফ ডিকেচ ৫১ বছর বয়সী তুর্কির শ্যুটার। মঙ্গলবারের শ্যুটিং কম্পিটিশনের পরেই তিনি গোটা বিশ্বেই ভাইরাল হয়েছে। একটি সাধারণ সাদা টি-শার্ট পরেই অংশ নিয়েছিলেন।
সুদূর তুর্কি থেকে ভারতের সঙ্গে তিনি আবার নতুন করে যোগাযোগ তৈরি করে দিলেন। তিনি অলিম্পিয়ান (Olympian ) ইউসুফ ডিকেচ (Yusuf Dikec)। ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছেন। মঙ্গলবার প্যারিস অলিম্পিস গেমসে ১০ মিটির এযার পিস্তল শ্যুটিং রুপো জয় করেছেন তুর্কির অলিম্পিয়াস (Turkish Olympian)। পদক জয়ের থেকেই তিনি ভারতীয়দের মন কেড়ে নিয়েছেন তাঁর অ্যাটিটিউডে। তাঁর 'বলিউডের ঠোক দো ' স্টাইলেই ফিদা ৮-৮০ ভারতীরা। মহিলা মহলেও তিনি বিশেষ জায়গা করেছে নিয়েছেন। তরুণী থেকে প্রৌঢ়়া এককথায় সকলেই তাঁর ফ্যান। যাদের সঙ্গে খেলার দূর দূরান্তে কোনও সম্পর্কে নেই তাদের আলোচনাতেও ইউসুফ ডিকেচ।
ইউসুফ ডিকেচ ৫১ বছর বয়সী তুর্কির শ্যুটার। মঙ্গলবারের শ্যুটিং কম্পিটিশনের পরেই তিনি গোটা বিশ্বেই ভাইরাল হয়েছে। একটি সাধারণ সাদা টি-শার্ট পরেই অংশ নিয়েছিলেন। তবে তাঁর এই সাধারণ পোশাকই তাঁকে অন্য প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা করে দিয়েছেন। তিনি নিজের চশমা পরেই কাঁপিয়েছেন অলিম্পিস মঞ্চ। কারণ শ্য়ুটাররা সাধারণত একটি চোখ ঢেকে রাখে। ব্যবহার করে একাধিক বিশেষ লেন্স। কানেও থাকে বর্ম। কারণ আওয়াজ যাতে নিজের কানে না পৌঁছায় তার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা। কিন্তু এসব কিছুই তোয়াক্কা না করেই তিনি ব্যাতিক্রমী। তাতেই মন জয় করেছেন নেটিজনদের।
রইল সোশ্যাল মিডিয়ায় বাইরাল ইউসুফ ডিকেচের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যঃ
১৯৭৩ সালে জন্ম ইউসুফ ডিকেচ। ২০০৪ সালে থেকেই প্রতিটি গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকস গেমসে অংশ গ্রহণ করেছেন। প্যারিসেই অলিম্পিকের আসরেই তাঁকে মন দিয়ে ফেলেছেন বিশ্বের বহু মহিলারা। এতদিন পর্যন্ত তাঁর ব়্যাঙ্ক ছিল ১৩। ওয়েব সাইটের তথ্য অনুযায়ী ইউসুফ ডিকেচের বিশেষ শখ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে তিনি নাচ পছন্দ করেন। ২০০১ সালে শ্যুটিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তিনি তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি অধীনে একটি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মী। নিরাপত্তা ও জনতাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখার দায়িত্ব পালন করে সংস্থাটি। এই সংস্থাটিতে ১৯৩৯ সাল থেকেই সক্রিয় বলে জানিয়েছে ন্যাটো সেন্টার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তাঁর তোয়াক্কা না করা লুক। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের অনেকের মনেই তাঁর অতি সাধারণ লুকই দাগ কেটে দিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।