সংক্ষিপ্ত
২৩ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে টোকিও ২০২০ অলিম্পিক্স। কিন্তু তার আগে ক্রমশ থাবা বসাচ্ছে করোনা ভাইরাস। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জাপান সরকার থেকে আওসির।
আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। তারপরই শুরু হতে চলেছে বিশ্বের সবথেকে বড় স্পোর্টিং ইভেন্ট টোকিও ২০২০ অলিম্পিক্স। কিন্তু অলিম্পিক্স শুরুর আগে জাপান সরকার ও আওসি মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। কারণ শুধু টোকিওতেই নয়, অলিম্পিক্স গেমস ভিলেজে ঝড়ের গতিতে থাবা বসাচ্ছে মারণ ভাইরাস। যা ক্রমেই আতঙ্কের কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে। শুধু কর্মীরাই নয়, দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে অ্যাথলিটদের মধ্যেও।
আরও পড়ুনঃটোকিও অলিম্পিকে দেখা যাবে একাধিক নতুন খেলা, জানুন তার বিস্তারিত তথ্য
গত শনিবার অলিম্পিক্স গেমস ভিলেজে প্রথম করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই দিন টোকিও করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪০০-রও বেশি। বিগত কয়েক দিনে তা আরও বেড়েছে। কিন্তু গেমস ভিলেজে আক্রান্তের সংখ্যা জানলে মাথায় হাত পড়বে আপনারও। শনিবার এক থেকে মঙ্গলবার সংখ্য়াটা দাঁড়িয়েছে ৬৭-তে। শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলেছে অলিম্পিক। তার আগে সংক্রণের এই সংখ্যা চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ চওড়া হচ্ছে আয়োজকদের।লন্ডনের কিংস কলেজের জনস্বাস্থ্য বিষয়ের প্রধান কেঞ্জি শিবুয়া বলেন,'এটা খুব স্বাভাবিক যে জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে গিয়েছে। তবে আমার আরও ভয় করছে জাপানের সাধারণ মানুষের মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়া নিয়ে।'
আরও পড়ুনঃবক্সিং দলের 'নবরত্ন', অলিম্পিকে পদক জয়ে যাদের উপরে ভরসা করছে দেশ
আরও পড়ুনঃঅনুশীলনেই আত্মবিশ্বাসের 'পাঞ্চ', টোকিওতে বিপক্ষকে 'নক আউট' করতে প্রস্তুত ভারতীয় বক্সাররা
অলিম্পিক শুরুর আগে টোকিও করোনা গ্রাফ উর্ধ্বমুখী ছিল জাপন সহ টোকিওতে। যার ফলে দ্রুত টোকিওতে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। এখনও জাপানের মাত্র ৩৩ শতাংশ মানুষের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে। করোনা আবহে অলিম্পিক আয়য়োজনের বিপক্ষে মত ছিল জাপানেপ একটা বড় অংশের মানুষের। তারমধ্যে অলিম্পিক্স শুরুর আগেই যেভাবে দ্রুত গতিতে গেমস ভিলেজেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে প্রতিযোগিতার ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।