সংক্ষিপ্ত
ক্রীড়াবিদদের ক্যানবেরির ব্যবহার নিয়ে জল্পনা অব্যাহত। তবে ২০২২ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ওয়াডার। তারপরই বৈঠকরে পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে ওয়াডা।
ক্রীড়াজগতে নিষিদ্ধ ক্যানাবাস মাদকে উঠতে পারে বিধিনিষেধ। এমনই এক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বিশ্ব অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি ওয়াডা-র একটি সিদ্ধান্তে। কারণ ক্যানাবাস-এর বিষয়ে একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরিক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডা। সায়েন্টিফিক রিভিউ নামে এই পদ্ধতির কথা তারা ঘোষণা করেছে। আপাতত বিশ্ব অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি-র নিষিদ্ধ মাদকের তালিকায় নাম রয়েছে ক্যানাবাস-এর। ক্যানাবাস এমন একটি মাদক যা ক্রীড়াবিদদের পারফরম্যান্সের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। অতিতে বহু ক্রীড়াবিদ ক্যানাবাস- সেবনের অভিযোগে বহিষ্কৃত হয়েছে। তবে, ক্যানাবাস-এর ব্যবহার নিয়ে বরাবরই বিতর্ক রয়েছে। কারণ, মেডিক্যাল ড্রাগস তৈরিতে ক্যানাবাস একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এমনকী, বহু দেশে এবং শহর ও প্রদেশেও ক্যানাবাস সেবন আইনত অপরাধ নয়।
ক্যানাবাস নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কটা তৈরি করেন মার্কিন অ্যাথলেট শকরি রিচার্ডসন। যিনি মার্কিন ১০০ মিটার স্প্রিন্টার অলিম্পিক দলের তারকা ছিলেন। কিন্তু, অলিম্পিকে যাওয়ার আগেই রিচার্ডসন সেদেশে হওয়া ডোপিং টেস্টে ধরা পড়েন। অলিম্পিকগামী দলের ১০০ মিটার স্প্রিন্টারের ট্রায়ালে জয়ী হয়েছিলেন রিচার্ডসন। এরপর প্রথা মেনে তাঁর ডোপিং টেস্ট করানো হয়। রিচার্ডসনের রক্তে নিষিদ্ধ মাদক মারিজুয়ানার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এই ক্যানাবাস মারিজুয়ানা থেকে তৈরি হয়। ডোপিং টেস্টে ধরা পড়ার পর জেরায় রিচার্ডসন জানিয়েছিলেন আমেরিকার ওরেগাঁও-এ তাঁর মা প্রয়াত হন। এরপর তিনি মানসিক হতাশা কাটাতে মারিজুয়ানা নিয়েছিলেন। ওরেগাঁও-এ মারিজুয়ানা সেবন নিষিদ্ধ নয়। তিনি বিষয়টি সেই সময় ঠাহর করতে পারেননি যে এটা তাঁর অ্যাথলেট কেরিয়াকে বিপদের সামনে ফেলে দেবে। এমনকী, এই ঘটনার জেরে রিচার্ডসন অলিম্পিক দলে তো ঠাঁই পাননি, সেই সঙ্গে ট্রায়াল থেকে ডিসকোয়ালিফাই করে দেওয়া হয় তাঁকে। এরপরই মার্কিন অ্যাথলেট সংগঠন থেকে ক্যানাবাস-এর ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞায় পুনঃপর্যালোচনার দাবি উঠতে থাকে।
বিশ্ব অ্যাথলেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান কো এরপর থেকেই ক্যানাবিস-এর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সওয়াল করতে শুরু করেন। তিনি ক্যানাবাস-এর নিষেধাজ্ঞায় পুনঃবিবেচনার দাবি জানান। মার্কিন ক্রীড়ামহলেও একই দাবি উঠতে থাকে। ২০২২ পর্যন্ত ওয়াডার নিষিদ্ধ মাদকের তালিকায় নাম রয়েছে ক্যানাবাস-এর। সেই নিষেধাজ্ঞা কোনওভাবেই তুলছে না ওয়াডা। তারা বরং এর সায়েন্টিফিক রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি ক্যানাবাস-এর উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়, তাহলে সেটা ২০২২ সালের পর। ইস্তান্বুল-এ ওয়াডার এক্সিকিউটিভ বডির মিটিং ছিল। সেখানেই সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।