সংক্ষিপ্ত
- বজ্রপাতের কারণে প্রতি বছর ভারতে বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে
- বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা এই বছর প্রচুর ঘটেছে
- ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রাণ কেড়েছে বহু মানুষের
- এই অ্যাপ বজ্রপাতের ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের আগেই সতর্ক করবে
বজ্রপাতের কারণে প্রতি বছর ভারতে বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। বিশেষ করে মাঠে চাষআবাদ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা এই বছর প্রচুর ঘটেছে। এই ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রাণ কেড়েছে বহু মানুষের। তবে এবার বজ্রপাতের আগেই আপনি এটি সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর এই বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করবে একটি অ্যাপ। স্মার্টফোনে থাকা একটি অ্যাপ যা আপনাকে বজ্রপাতের ৩০ মিনিট আগেই সতর্ক করবে। 'দামিনী' নামের এই অ্যাপটি বজ্রপাত হওয়ার ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের আগে থেকেই বজ্রপাত ও আবহাওয়া সম্বন্ধে তথ্য জানাবে আপনাকে। এই অ্যাপটি প্রায় দু বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের পৃথিবী বিজ্ঞান মন্ত্রক চালু করেছিল। তবে বর্তমানে যে হারে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে এই অ্যাপ ব্যবহারের প্রয়জনীতাও অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কীভাবে কাজ করে দামিনী অ্যাপ-
দামিনী অ্যাপ্লিকেশনটি গুগল প্লে স্টোরে উপলব্ধ। এই অ্যাপ স্মার্টফোনে ডাউনলোড করার পরেই আপনার লোকেশন সিলেক্ট করে তার অবস্থান এবং মানচিত্র দেখায়। এই বৃত্তটি লোকেশনের ২০ কিলোমিটার ব্যাসের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে বজ্রপাত সম্বন্ধে সতর্কতা দেয়। অ্যাপে যে লোকেশন দেখায়, সেখানে বিদ্যুৎ পড়ছে কি না সে সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। সার্কেলের ঠিক নীচে হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় এই তথ্য দেওয়া হয়।
আবহাওয়া দফতরের মতে, আবহাওয়া দফতর তার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বজ্রপাতের স্থানগুলি সম্পর্কেও তথ্য দেয়। বজ্রপাতের তথ্যের পাশাপাশি কীভাবে সুরক্ষা এবং প্রাথমিক চিকিত্সা নেওয়া যায় তাও জানাবে এই অ্যাপটি। দামিনী অ্যাপে, ক্ষেত্রের কাজ করার সময়, ভ্রমণের সময়, বাড়ির চারপাশে বিদ্যুতের সতর্কতা পাওয়া গেলে কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যাবে সেই সম্বন্ধেও তথ্য প্রদান করবে। এই অ্যাপটি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিকাল মেটেরিয়ালস (আইআইটিএম) পুনে দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। দামিনী অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায়। দেশে এখন পর্যন্ত মাত্র কয়েক লক্ষ মানুষ এই অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন। তবে সতর্কতার জন্য এই জীবনদায়ী অ্যাপ মোবাইলে থাকা উচিত বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদরা। এর ফলে বজ্রপাতের ফলে মানুষের জীবনহানির আশঙ্কাও কমবে।