সংক্ষিপ্ত

ডিজিটাল দুনিয়ায় ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকল স্তরের মানুষের হাতে স্মার্টফোন থাকা জরুরি। নির্বাচিত কিছু গোষ্ঠীকে স্মার্টফোনের উপর সাবসিডি দেওয়ার জন্য ইউনিভার্সিয়াল সার্ভিস অবলিগেশন ফান্ড বা ইউএসও  ব্যবহার করার আবেদন জানিয়েছেন আম্বানি।
 

রিয়্যালেন্স কোম্পানির(Reliance) তরফে একের পর এক নয়া চমক। কখনও রিল্যায়েন্স জিও(Reliance Jio)-তে মিলছে দুর্দান্ত অফার তো কখনও আবার জিও নেক্সটের মত স্বল্প মূল্যে সকলের সাধ্যের মধ্যে স্মার্টফোনের পরিষেবা। রিল্যায়েন্সের অফারে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পেলেও ব্যবসায়িক আঙ্গিকে অন্যন্য কোম্পানির রক্তচক্ষুর স্বীকার হচ্ছে মুকেশ আম্বানির(Mukesh Ambani) সংস্থা রিল্যায়েন্স(Reliance)। সম্প্রতি নামী দামী ভোগ্য পণ্য তৈরির সংস্থাগুলোর জিনিসের তুলনায় রিল্যায়েন্সের প্রোডাক্টের দাম কম হওয়ায় ডিস্ট্রিবিউটর সংস্থার কর্মীরা অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে সেই সব বিষয়কে একপ্রকার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আপন ছন্দে এগিয়ে চলেছেন রিল্যায়েন্স কোম্পানির মালিক মুকেশ আম্বানি। সম্প্রতি তিনি তাঁর মত ব্যক্ত করে বলেছেন, স্মার্টফোনের(Smartphone) ওপর সাবসিডি(Subsidy) চালু করা উচিত। ডিজিটাল(digital Media) বিপ্লবে সাহায্য করার জন্যই নির্বাচিত কিছু গোষ্ঠীকে স্মার্টফোনের উপর ভর্তুকি (Subsidy On smartphone) দেওয়ার জন্য ইউনিভার্সিয়াল সার্ভিস অবলিগেশন ফান্ড বা ইউএসও  ব্যবহার করার আবেদন জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি(Mukesh Ambani) বলেন, দেশে ব্রডব্যান্ড সেলুলার নেটওয়ার্কের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ৫জি প্রযুক্তির মান চালু করা উচিৎ।

টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের দেওয়া লাইসেন্স ফি এর ৫ শতাংশ যায় ইউনিভার্সাল সার্ভিস আবলিগেশন ফান্ডে। গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিফোন পরিষেবা পৌঁছে দিয়ে সার্বজনীন পরিষেবার লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে তথা ওই এলাকায় মোবাইল পরিষেবা এবং ব্রডব্যান্ডের জন্য পরিকাঠামো তৈরি করতে এই ফান্ড ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে গঠন করা হয়েছিল। তবে নিয়ন্ত্রক এবং অডিটর জেনারেল (CAG)-এর মতে, এইভাবে একত্রিত করা অর্থের অর্ধেকেরও কম এই কাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। বুধবার ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস(IMC)বা আইএমসি-র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ভাষণ দিতে গিয়ে আম্বানি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ভারতকে ২জি থেকে ৪জি আর ৫জি পর্যন্ত এগোনোর কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। তিনি বলেন, সামাজিক-অর্থিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সবচেয়ে নীচে থাকা কয়েক লাখ ভারতীয়কে ২জি পর্যন্ত সীমিত রাখার অর্থ হল তাঁদের ডিজিটাল বিপ্লব থেকে বঞ্চিত করা।

আরও পড়ুন-Reliance -রিল্যায়েন্সের বিরুদ্ধে কম দামে প্রোডাক্ট বিক্রির অভিযোগ,সঙ্কটে অন্যান্য পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি

আরও পড়ুন-Mukesh Ambani-ইনফিনিটির মঞ্চে মোদীর প্রশংসায় আম্বানি,GIFT তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানান জিও মালিক

আরও পড়ুন-Ambani-সম্পত্তির ভবিষ্যৎ মালাকানা নিয়ে পরিকল্পনা মুকেশ আম্বানির,ওয়ালটন পরিবারকে অনুসরণ রিল্যায়েন্স কর্তার

রিলায়েন্স ইন্ডিস্ট্রিজের সাবসিডিয়ারি জিয়ো ২০১৬-য় মোবাইল ডেটা আর কানেক্টিভিটি শুরু করে এই সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছিল। এই মুহুর্তে ৪জি এবং ৫জির বাস্তবায়ন আর ব্রডব্যান্ডের মৌলিক পরিকাঠামোর বিস্তারের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। ৪জি আর ৫জি নেটওয়ার্কের জন্য স্মার্টফোনের প্রয়োজন। দেশে আনুমানিক ২৮ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী এখনও বেসিক বা ফিচার ফোন ব্যবহার করেন। উল্লেখ্য তাঁদের জন্য,এন্ট্রি লেভলের স্মার্টফোনও বাজেট ফ্রেন্ডলি হয় না। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে রিল্যায়েন্স মালিক বলেন, সকলের হাতে স্মার্টফোন পৌঁছানোর জন্য দামের বিষয়টিতে অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ভারতের বৃহত্তর ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। শুধুমাত্র পরিষেবা নয়, ডিভাইস এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলিরও ক্রয়ক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে বলে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসের ভাষণে বলেন মুকেশ আম্বানি।  ব্যাপক ক্রয়ক্ষমতা নিশ্চিত করার সহজ উপায় হল ভবিষ্যত প্রযুক্তি এবং সহায়ক নীতি সরঞ্জামগুলির চটপটে গ্রহণ করা ও ইউএসও ফান্ডের মত বিষয়গুলোকে ব্যবহার করা। উল্লেখ্য, রান্নার গ্যাসে যেমন ভর্তুকি পাওয়া যায়, এবার যদি সমাজের নিম্নস্তরের মানুষরা স্মার্টফোনের ওপর ভর্তুকি পায় তাহলে দেশের উন্নতির অগ্রসর হবে বই কি....ডিজিটালি দেশকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও হয়তো অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।