সংক্ষিপ্ত
বায়ু তরঙ্গের দাম ৬০-৭০ শতাংশ না কমলে ফাইভ-জি নিলাম সম্ভব নয়। সেলুলার অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার তরফে কেন্দ্রকে এই চিঠি পাঠান হয়েছে।
ফাইভ জি স্পেকট্রামের(5G spectrum) দর আরও কমাতে হবে। ন্যূনতম দর অর্ধেকের বেশি কমানের পরামর্শ দিয়েছে ভারতের টেলিকম সংস্থাগুলো। সৌজন্যে নিলামে(Auction) সফল হওয়ার লক্ষ্য। অর্থাৎ নিলাম সফল(To Make Auction success) করতে হলে ফাইভ-জি স্পেকট্রামের(5G Spectrum) ন্যূনতম দর অর্ধেকের বেশি কমানো উচিত বলে মনে করছে ভারতের টেলিকম মহল। এই মর্মে সেলুলার অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (COAI) ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতরকে( একটি চিঠিও দিয়েছে। একটি বেসরকারি টেলিকম সংস্থার পদস্থ কর্তার মতে, সিওএআই-এর মাধ্যমে টেলিকম সংস্থাগুলি জানিয়েছে, বায়ু তরঙ্গের দাম(Airwave) ৬০-৭০ শতাংশ কমানো না হলে ফাইভ-জি নিলাম কখনই সফল হওয়া সম্ভব নয়। ন্যূনতম দর যদি কমানো না হয় তাহলে তিনটি টেলিকম সংস্থা যথাক্রমে এয়ারটেল, ভোডাফোন আইডিয়া ও জিও নিলামে ভালো ভাবে অংশ নিতে সক্ষম হবে। এক সপ্তাহ আগেই সেলুলার অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার তরফে এই চিঠি পাঠান হয়েছে বলে সুত্রের খবর।
উল্লেখ্য, এই ব্যাপারে সিওএআই-র পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। আগামী এপ্রিল-মে-র মধ্যে ফাইভ-জি স্পেকট্রাম নিলাম করার বিষয়ে আশাবাদী কেন্দ্র। কিন্তু, দাম নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। বিশেষজ্ঞমহল ও টেলিকম সংস্থাগুলির আধিকারিকদের মতে, ফাইভ-জি নিলামের সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য স্পেকট্রামের ন্যূনতম দর কমানো প্রাথমিকভাবে জরুরি। ভোডাফোন আইডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবিন্দার টক্কর সম্প্রতি একটি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, ফাইভ-জি স্পেকট্রামের ন্যূনতম দর না কমানো হলে, এই সমস্ত ব্যান্ডের বায়ুতরঙ্গ কিনতে কেউ ইচ্ছেপ্রকাশ করবে না। বর্তমানে ৩৩০০-৩৬০০ MHz ব্যান্ডে এক MHzফাইভ-জি স্পেকট্রামের ন্যূনতম দর ৪৯২ কোটি টাকা, যা অত্যন্ত বেশি বলে মনে করছে তিনটি বেসরকারি টেলিকম সংস্থাই। সেই দিক দিয়ে দেখলে ইতালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রিটেনে বায়ুতরঙ্গের দর অনেকটাই কম।
আরও পড়ুন-6G-এবার ভারতে তৈরি হবে ৬ জি টেকনোলজি,২০২৩-২৪ সালের মধ্যেই আসছে ৬ জি,জানালেন অশ্বিনী বৈষ্ণব
তিন প্রতিযোগী টেলিকম সংস্থাই সরকারের দেওয়া স্পেকট্রামে ভারতে ফাইভ-জি প্রযুক্তির ব্যবহারিক পরীক্ষা করছে। দিন কয়েক আগেই ভারতের মধ্যে প্রথম কলকাতাতে ৭০০ MHz ব্যান্ডে ফাইভ-জি প্রযুক্তি পরীক্ষা করেছে এয়ারটেল। ফাইভ-জি ট্রায়াল চালাচ্ছে ভোডাফোন আইডিয়া-ও। অন্য দিকে, রিলায়েন্স জিও ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তারা গোটা বিশ্বের ফাইভ-জি ভেন্ডর হতে প্রস্তুত এবং কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ফাইভ-জি কী ভাবে প্রভাব ফেলবে তার উপর সংস্থাটি বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে। জিও -ও ফাইভ-জি ট্রায়াল চালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার এখন ৩৩০০-৩৬০০ MHz ব্যান্ডকে ফাইভ-জি পরিষেবার জন্য নির্দিষ্ট করেছে। টেলিকম দফতর ৩৩০০-৩৬০০ MHz ব্যান্ড এবং অন্যান্য যে সমস্ত ব্যান্ড ভবিষ্যতে ফাইভ-জি পরিষেবায় ব্যবহার করা হতে পারে, ট্রাইয়ের কাছে সেগুলির নতুন দর জানতে চেয়েছে। কোন কোন ব্যান্ড কবে কতটা মিলবে এবং সেগুলির ব্যবহার কীরকম হবে সেই বিষয় টেলিকম দপ্তরের কাছে পাল্টা জানতে চেয়েছে ট্রাই(TRAI)। কেন্দ্রের কাছ থেকে যথাযথ জবাব পাওয়ার পর কোন ব্যান্ডের স্পেকট্রাম নিলামে বিক্রি হবে এবং সেগুলির পরিমাণ ও ন্যূনতম দর কেমন হবে সেই সকল বিষয়ের ওপরই আসন্ন নিলাম নিয়ে আলোচনাপত্র প্রকাশ করবে ট্রাই(TRAI)।