সংক্ষিপ্ত
প্রতারণার মাধ্যমে হারানো মোট অর্থ প্রায় আট গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২১,৩৬৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
২০২৪ সালে ভারতে সাইবার প্রতারণার ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কোটিপতিরাও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ২০২৪-২৫ সালের প্রথমার্ধে ব্যাংকিং প্রতারণার সংখ্যা ২৭% বৃদ্ধি পেয়েছে বলে রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে। এছাড়াও, প্রতারণার মাধ্যমে হারানো মোট অর্থ প্রায় আট গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২১,৩৬৭ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এই বছর ভারতে সর্বাধিক দেখা যাওয়া ৫টি আর্থিক প্রতারণার ধরন এখানে দেওয়া হল:
১. ডিজিটাল গ্রেপ্তার প্রতারণা
ফোন কল বা ভিডিও কলের মাধ্যমে শিকারদের সাথে যোগাযোগ করে আইন প্রয়োগকারী বা সরকারি কর্মকর্তা সেজে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। শিকারকে অপরাধী বলে দাবি করে গ্রেপ্তার এড়াতে অর্থ জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়।
২. শেয়ার বাজার প্রতারণা
উচ্চ মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছু ভুয়া প্ল্যাটফর্ম বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করে প্রতারণা করে। এ ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে ২,২৮,০৯৪ টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শিকারদের ৪,৬৩৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
৩. ডিপফেক প্রতারণা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নতির সাথে সাথে এই ধরনের প্রতারণা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিখ্যাত ব্যক্তিদের ছদ্মবেশে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। ডিপফেক ভিডিওগুলি আসল ভিডিওর মতো দেখতে হওয়ায় মানুষ সহজেই বিভ্রান্ত হয়। এটি এই ধরনের প্রতারণা বৃদ্ধির কারণ।
৪. সিম বন্ধ প্রতারণা
কেওয়াইসি সমস্যার কথা বলে সিম কার্ড অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে বলে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার নামে ভুয়া বার্তা বা কল করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। শিকারদের কাছ থেকে ব্যাংকের তথ্য বা অর্থ চাওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে ট্রাই।
৫. কিউআর কোড প্রতারণা
ভুয়া কিউআর কোড ব্যবহার করে প্রতারণা করা হয়। ভুয়া ওয়েবসাইটে পুনঃনির্দেশিত করা বা স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে অননুমোদিত লেনদেন করা হয়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।