বাজারে নতুন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে QR কোড জালিয়াতি, স্ক্যান করার আগে সাবধান! কীভাবে বাঁচবেন?
- FB
- TW
- Linkdin
আজকাল সব ধরণের পেমেন্টের জন্য মানুষ UPI ব্যবহার করে। PhonePe, Paytm অথবা Google Pay-এর মাধ্যমে দোকানে টাকা দেওয়ার জন্য QR কোড স্ক্যান করা সহজ, কিন্তু QR কোড পেমেন্টেও ঝুঁকি আছে।
QR কোড পেমেন্ট করার আগে গ্রহীতার নাম যাচাই করাই জালিয়াতি এড়ানোর উপায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
জালিয়াতরা রাতের বেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাইরে লাগানো QR কোডগুলি পরিবর্তন করেছে। এর মধ্যে পেট্রোল পাম্প, ওষুধের দোকান এবং অন্যান্য দোকান রয়েছে।
গ্রাহকরা টাকা দেওয়ার পর, টাকা জালিয়াতদের অ্যাকাউন্টে চলে গেছে। দেশের বিভিন্ন শহরে এমন ঘটনা ঘটছে।
QR কোড জালিয়াতি এড়াতে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত?
QR কোড স্ক্যান করার পর টাকা পাওয়া ব্যক্তির নাম যাচাই করুন। কোডটি সঠিক কিনা তা যাচাই করতে Google Lens ব্যবহার করুন। QR কোডটি যদি স্পষ্ট না হয়, তবে এটি স্ক্যান করবেন না। QR কোড শুধুমাত্র টাকা পাঠানোর জন্য স্ক্যান করা হয়, টাকা পাওয়ার জন্য নয়, তা মনে রাখবেন।
ব্যবসায়ীরাও জালিয়াতি এড়াতে কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। দোকান খোলার পর, QR কোডটি স্ক্যান করে আপনার নাম এবং অ্যাকাউন্টের বিবরণ সঠিক কিনা তা যাচাই করুন।
QR কোডটি দোকানের ভিতরে রাখুন। কেউ যাতে বাইরে থেকে এটি পরিবর্তন করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। টাকা দেওয়ার আগে, স্ক্যানিংয়ে কোন নাম দেখাচ্ছে তা গ্রাহকদের জিজ্ঞাসা করুন। টাকা দেওয়ার পর, অবশ্যই ব্যাংক থেকে পাওয়া বিজ্ঞপ্তিটি পরীক্ষা করুন।
জালিয়াতি রোধে কেন্দ্রীয় সরকার, রিজার্ভ ব্যাংক, ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) একসাথে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেই লক্ষ্যে অনলাইন জালিয়াতি সম্পর্কে অভিযোগ দায়েরের জন্য www.cybercrime.gov.in নামে একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে।
১৯৩০ নম্বর হেল্পলাইনেও অভিযোগ করা যাবে।সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনলাইন জালিয়াতিতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। ২০২১-২২ সালে ১৪৬২৫টি মামলায় ১৯.৩৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
২০২২-২৩ সালে ৩০৩৪০টি মামলায় ৪১.৭৩ কোটি টাকা এবং ২০২৩-২৪ সালে ৩৯৬৩৮টি মামলায় ৫৬.৩৪ কোটি টাকার জালিয়াতি হয়েছে। ২০২৪-২৫ সালে এখন পর্যন্ত ১৮১৬৭টি মামলায় ২২.২২ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।