সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতা চিকিৎসকের ধর্ষণের ভিডিও খোঁজার হিড়িক গুগলে। গুগলে ট্রেন্ডস বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকেই নির্যাতিতার ভিডিও সার্চ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে আন্দোলন। আন্দোলনের আঁচ দেশের গণ্ডী পার করে পৌঁছে গেছে বিদেশেও। এবার সেই আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের ধর্ষণের ভিডিও খোঁজার হিড়িক গুগলে। ইতিমধ্য়েই সামনে এসেছে সেই লজ্জাজনক তথ্য। গুগলে রীতিমত ট্রেন্ড করছে নির্যাতিতার নাম দিয়ে'রেপ ভিডিও' ও 'রেপ ফোটো' সার্চ!

গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছে এক চিকিৎসকের রক্তাক্ত দেহ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট স্পষ্ট করে বলা হয়েছে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। আরজি কর ঘটনার প্রথম থেকেই গোটা দেশে শুরু হয়েছে প্রতিবাদের ঝড়। কিন্তু তারই মধ্যে সামনে এসেছে এই লজ্জাজনক তথ্য। সর্বভারতী নিউজ পোর্ট দ্যা কুইন্টলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুগলে ট্রেন্ডস বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে ঘটনার কয়েক দিন থেকেই নির্যাতিতার ভিডিও সার্চ শুরু হয়েছে। ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সেই সার্চ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৬০ থেকে ১৯০ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী গুগল ট্রেন্ড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছেগত ১৬ অগাস্ট রেপ ভি়ডিও সবথেকে বেশি মানুষ খুঁজেছে। তাও আবার রাতের বেলায়। নির্যাতিতার নাম দিয়েও অনেকে এই ভিডিও সার্চ করেছে। সেই সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। প্রায় ৩০০০ বারের বেশি খোঁজা হয়েছে নিহত চিকিৎসকের নাম দিয়ে তাঁর ধর্ষণের ভিডিও। একটি নির্দিষ্ট পর্ন সাইটে সবথেকে বেশি এই বিষয়ে সার্চ করা হয়েছে। যদিও অনেকেই আবার এই কথা মানতে নারাজ। একটি অংশের দাবি আরজি করের নির্যাতিতাকে নিয়ে অনেকেই জানতে আগ্রহী হয়ে পড়েছিলেন, হাসপাতালে ভাঙচুরের পর। তাই ১৬ অগাস্ট থেকেই আরজি করের নির্যাতিতাকে নিয়ে গুগল সার্চও সবথেকে বেশি হয়েছে। কিন্তু পর্ন সাইটে কেন সার্চ করা হবে তার উত্তর নেই।

এটাই সত্য! ইন্টারনেটে কিছুই লোকানো থাকে না। আপনি কী খুঁজছেন, কতবার খুঁজছেন সবই তথ্য থেকে যায়। পরবর্তী সময় সেই তথ্য কাজে লাগেতে পারে তদন্তকারীরা। যাইহোক এনসিআরবির রেকর্ড বলেছে ভারতে প্রতি ১৬ মিনিটে একটি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আর সম্প্রতি পর্নসাইটে অনেক সময়ই নির্যাতিতার নাম দিয়ে তাঁর ছবি আপলোড করা হয়। তাই নাম দিয়ে পর্ন ভিডিও সার্চের প্রবণতাও বেশি বেড়েছে। আরজি করের নির্যাতিতার নাম কেন প্রকাশ্যে তা নিয়েও শুনানির সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট সোশ্যাল মিডিয়া,খবর- সর্বত্র থেকে আরজি করের নির্যাতিতার নাম ও ছবি সরাতে নির্দেশ দিয়েছে। দেশের আইন অনুযায়ী কোনও ধর্ষিতার ছবি ও নাম প্রকাশ করা যায় না। আরজি কর-কাণ্ডে সেই কথা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।