সংক্ষিপ্ত
সৌর ঝড়ের আশঙ্কা এখনও রয়ে গিয়েছে। এই সৌর ঝড় তীব্র হলে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিলুপ্ত হতে পারে। টিভি সিগন্যাল সিস্টেমে হস্তক্ষেপ করতে পারে। ট্রান্সফরমার উড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুধুমাত্র সূর্যের কারণেই পৃথিবীতে জীবন টিকে আছে। সূর্যই একমাত্র উৎস যা পৃথিবীতে আলো ও তাপ সরবরাহ করে। এই কথা আমাদের সকলেরই জানা। তবে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই সূর্যের মধ্যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটছে। সেই সঙ্গে দেখা মিলছে সৌর তরঙ্গের তাণ্ডব। এসব সৌর ঝড়ের আশঙ্কা এখনও রয়ে গিয়েছে। এই সৌর ঝড় তীব্র হলে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিলুপ্ত হতে পারে। টিভি সিগন্যাল সিস্টেমে হস্তক্ষেপ করতে পারে। ট্রান্সফরমার উড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার, ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) এই সৌর ঝড়ের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিল। নাসাও সৌর ঝড়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সৌর ঝড় সৌর শিখার দ্বারা সৃষ্ট সূর্যের উপর বড় বিস্ফোরণ দ্বারা সৃষ্ট হয়। এর ফলে চৌম্বক তরঙ্গ সৃষ্ট হয়।
পৃথিবীর মূল থেকে নির্গত চৌম্বকীয় তরঙ্গের কারণে পৃথিবীর চারপাশে এক ধরনের প্রতিরক্ষামূলক ঢাল তৈরি হয়েছিল। এই শেলটির কারণেই পৃথিবী সূর্যের বিকিরণ থেকে রক্ষা পায়। তবে, সৌর ঝড়ের সময়, এই শেলটি অত্যধিক বিকিরণের কারণে পৃথিবীতে প্রবেশে বাধা পাচ্ছে।
২০২২ সালের আগস্টে একই রকম একটি সৌর ঝড় হয়েছিল। সূর্যে ৩৫ টি ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। সৌর তরঙ্গের বিপর্যয় প্রায় ছয়বার দেখা গেছে। ২০২৫ সাল খুবই বিপজ্জনক হবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে সৌর ঝড় হচ্ছে। সৌর বায়ুর একটি দ্রুত প্রবাহ পৃথিবীর কাছে আসছে। এতে উদ্বেগ বেড়েছে। যদিও এই সৌর ঝড় মানুষের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে না, তবে প্রযুক্তিতে এর বড় প্রভাব পড়বে।
সৌর ঝড়ের প্রভাব
এই সৌর ঝড়গুলি রেডিও সংকেতের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এই সৌর ঝড় সিগন্যাল সিস্টেমকে ব্যাহত করতে পারে। জিপিএস নেভিগেশন, মোবাইল ফোন সিগন্যাল এবং স্যাটেলাইট টিভি প্রভাবিত হতে পারে। পাওয়ার লাইনে কারেন্ট বেশি হতে পারে, যা ট্রান্সফরমারকেও উড়িয়ে দিতে পারে। এটি জিপিএস, সেই সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্কগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে৷ এটি পাওয়ার গ্রিডকেও প্রভাবিত করতে পারে। সূর্যের পৃষ্ঠে বড় অগ্নিশিখা তৈরি হয়, যার ফলে ব্যাপক বিকিরণ হয়। একে সৌর ঝড় বলা হয়। সৌর তরঙ্গ হল শক্তির আকস্মিক বিস্ফোরণ।