সংক্ষিপ্ত

নতুন মালিক এলন মাস্কের আমলে টুইটারে ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রয়টার্স সূত্রের খবর মাস্কের আমে টুইটারের অর্ধেকের বেশি কর্মী ছাঁটাই হবে। মাস্কও বলেছেন টুইটারের অবস্থা এমনই য়ে কর্মী ছাঁটাই না করে উপায় নেই। তখনই পুরনো মালিক ডরসি ক্ষমা চাইলেন।

 

এই জন্যই মনে হয় বলে এই বিশ্ব বড়ই আজব। কারণ নতুন মালিক যখন গণ ছাঁটাই করছেন কর্মীদের তখন পুরনো মালিক ক্ষমা চাইছেন। কারণ এমনটাই ঘটেছে টুইটারের সঙ্গে। নতুন মালিক এনল মাস্ক সোশ্যাল মিডিয়াটির দায়িত্ব নিয়েই গণছাঁটাইয়ে মন দিয়েছেন। আর তখনই আসরে নেমে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি।

সান ফ্রান্সিসকোর সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট টুইটারের ছাঁটাই নিয়ে রীতিমত উত্তাল গোটা বিশ্ব । এই অবস্থায় আসরে নেমেছেন প্রতিষ্ঠাতা মালিক জ্যাক ডরসি। কারণ তিনি জানেন অনেকেই তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ। এই পরিস্থিতির জন্য তাঁর দায়বদ্ধতা যে রয়েছে সেকথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, 'টুইটারের অতীত এবং বর্তমানের লোকেরা শক্তিশালী এবং স্থিতিস্থাপক। তারা সবসময় একটি উপায় খুঁজে বের করবে মুহূর্ত যতই কঠিন হোক না কেন। আমি বুঝতে পারি অনেকেই আমার উপর রাগান্বিত। সবাই কেন এই পরিস্থিতিতে আছে তার জন্য আমি দায়বদ্ধ: আমি খুব দ্রুত কোম্পানির আকার বাড়িয়েছি। আমি এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী'। তিনি আরও বলেছেন, টুইটারে যারা কাজ করেছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। তাদের সকলেই তিনি ভালবাসের। তাদের প্রতি তাঁর সহানুভূতি রয়েছে।

নতুন মালিক এলন মাস্কের আমলে টুইটারে ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রয়টার্স সূত্রের খবর মাস্কের আমে টুইটারের অর্ধেকের বেশি কর্মী ছাঁটাই হবে। মাস্কও বলেছেন টুইটারের অবস্থা এমনই য়ে কর্মী ছাঁটাই না করে উপায় নেই। কারণ সংস্থাটি নাকি প্রতি দিন মিলিয়ন ডলার ক্ষতিতে চলছিল। তিনি আরও বলেছেন ৩০ জুন ২০২২ ত্রিমাসিকে এই সংস্থা ২৭০ মিলিয়ন ক্ষতিতে চলছে। আগের বছর এই সময়ই এই সংস্থা ৬৬ মিলিয়ন লাভ করেছিল।

শুক্রবার টুইটার বড় অঙ্কের কর্মী ছাঁটাই করে। শুক্রবার শত শত কর্মচারীকে গোলাপী স্লিপ দেওয়া হয়েছে, কোম্পানি একটি চিঠিতে বলেছে যে কর্মীদের ছাঁটাই করা হলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সময় অনুযায়ী  সকাল ৯ টার মধ্যে তারা জানতে পারবে। ইমেইলে বলা হয়নি কতজন লোক তাদের চাকরি হারাবে। যদিও সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়নি কতজনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তবে ভারতের ইঞ্জিনিয়ার, মার্কেটিং-সহ একাধিক বিভাগে প্রায় ২০০ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই, মাস্ক সিইও পরাগ আগরওয়াল, আইনি নির্বাহী বিজয়া গাড্ডে, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সেগাল এবং জেনারেল কাউন্সেল শন এজেটকে বরখাস্ত করেন। তিনি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ অপসারণ করেন এবং নিজেকে বোর্ডের একমাত্র সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।