সংক্ষিপ্ত
বুধবার মেটা থ্রেডস অ্যাপটি চালু হওয়ার পর খুশি ফেসবুক - ইনস্টাগ্রামের গ্রহকরা। আগামী দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিসেব নিকেশ বদলে দিতে পারে বলেও মনে করছেন নেটিজেনটা।
শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে ফেসবুকের মেটার নতুন অ্যাপ থ্রেডস। বুধবার অ্যাপটি চালু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত প্রায় এপর্যন্ত তিন কোটি ব্যবহারকারী অ্যাপটি ব্যবহার করেছেন। আগামী দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিসেব নিকেশ বদলে দিতে পারে বলেও মনে করছেন নেটিজেনটা। একাংশের দাবি নতুন এই অ্যাপটি এনে টুইটারের মালিক ইলন মাস্ককে রীতিমত চাপে ফেলে দিয়েছেন ফেসবুকের কর্তা মার্ক জুরারবার্গা। তবে অন্য অংশের দাবি ফেসবুকে চালু হওয়া থ্রেডস টাউটারের কপি পেস্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। থ্রেডসের মাধ্যমে এক ব্যবহারকারীকে অন্য কেউ মেনশন করতে পারবে। সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এতে ফিল্টারের ব্যবস্থাও রয়েছে। ইচ্ছে মত পোস্ট ফিল্টার করে নেওয়া যাবে।
থ্রেডস অ্যাপ-
এই অ্যাপে সর্বোচ্চ ৫০০ ক্যারেক্টার পর্যন্ত টেক্সট আপলোড করা যায়। দেওয়া যায় লিঙ্কও। ভিডিও-র ক্ষেত্রে সময়সীমা মাত্রা ৫ মিনিট। ইন্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট দিয়েও সাইন-আপ করা যাবে এই অ্যাপে। এখানে টেক্সট কপির পাশাপাশি ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা যাবে। ফেসবুকের তরফ থেকে জানান হয়েছে, যেসব ইউজারের বয়স ১৬ বছর বা কারও কম, কোনও কোনও দেশে ১৮ বছর বা তারও কম তাদের থ্রেজস অঅযকাউন্ট ডিফল্ট অপশন হিসেবে প্রাইভেট রাখা হবে। নিজের প্রোফাইল ফিড কাস্টোমাইড করতে পারবে ইউজাররা। থ্রেডস- অ্যাপে তিনটি ডট রয়েছে, যেগু ক্লিক করে ব্লক আর আনফলো করা যাবে। রিপোর্টও করা যাবে। বৃহস্পতিবার এই অ্যাপটি ১০০ টিরও বেশি দেশে চালু করেছে ফেসবুক। অ্যানরয়েড ও আইওএস - দুটি ডিভাইসেই এটি ব্যবহার করা যাবে।
Twitter Vs. Facebook
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা তথা মালিক মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছেন, থ্রেডসের মূল উদ্দেশ্যই হল কথাবার্তার জন্য একটি বিকল্প পথের অনুসন্ধান। এটি বন্ধুত্বপূর্ণ সর্বজনীন স্থান তৈরি করতে পারে। তবে তিনি ফেসবুকের তুলনায় এই থ্রেডস নিয়ে ইনস্টাগ্রামের ওপরই বেশি জোর দিয়েছেন। বলেছেন, ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে এটি নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি এটি আগামী দিনে টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে কিনা তা নিয়েও নিজের মতামত জানিয়েছেন। বলেছেন, এর জন্য সময় লাগবে। তিনি আরও বলেছেন ১ বিলিয়ন মানুষের জন্য কথাবার্তা বলার জন্য একটি অ্যাপ চাই। টুইটার এটির সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। পাশাপাশি মেটার এই অ্যাপ যে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে তা নিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি তাঁর গ্রাহকদের এই অ্যাপটি অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
টুইটারের সঙ্গে থ্রেডস-এর মিল
বর্তমানে কোনও কিছু লেখা বা ঘোষণার জন্য সেলিব্রিটিরা টুইটার ব্যবহার করেন। সেখানে তাঁরা মনের কথা লেখেন। এই প্ল্যাটফর্মকে জনপ্রিয় করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছেন এলন মাস্ক। নিয়োগ করেছেন নতুন সিইও লিন্ডা ইয়াক্কারিনোকে। পাশাপাশি দিনে কতবার একজন গ্রাহক টুইটার দেখতে পাবেন তাও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি পয়সা দিয়ে অর্থাৎ টুইটারের ব্লুক টিক গ্রাহকদের জন্য কোনও নির্ধারিত সময়সীমা নেই। মাস্কের উদ্দেশ্য পয়সার বিনিময় গ্রাহক হওয়ার ওপরেই। কিন্তু জুরেকবার্গ থ্রেডস অ্যাপ এনে তাঁর সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পারেন বলেও অনেকেই মনে করছেন। অন্যদিকে বর্তমানে একাধিক সমস্যায় জর্জরিত টুইটার। তাই জেকেরবার্গের মেটার থ্রেডস মাস্ককে কঠিন লড়াইয়ের মাধ্যে ফেলবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।