সংক্ষিপ্ত

আক্রান্ত লেখক সলমন রুশদি। শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী তাঁর ওপর হামলা চালায়। 


আক্রান্ত লেখক সলমন রুশদি। শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী তাঁর ওপর হামলা চালায়। ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে লেখক। এর আগেও একাধিকবার প্রগতিশীল এই লেখককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। 

সংস্থা সংস্থা এপি জানিয়েছে, লেখক সলমন রুশদি যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন তখনই এক ব্যক্তি ছুরি নিয়ে স্টেজের ওপর উঠে রীতিমচ ঝড়ের গতিতে হামলা চালায়। সলমন রুশদি ভাষণ শুরু করার সময়ই এই ব্যক্তি হামলা চালায়। সঙ্গে সঙ্গে আহত লেখক মাটিতে পড়ে যান। তারপরই আততায়ীকে পাকড়াও করা হয়। 


নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, সলমন রুশদিকে মেডিক্যাল হেলিকপ্টার করে  হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর ঘাড়ের ছুরির আঘাত রয়েছে।  তবে লেখকের অবস্থা বর্তমানে কেমন রয়েছে তা অবশ্য জানায়নি পুলিশ। লেখকের সাক্ষাৎ যিনি নিচ্ছেন তিনিও আহত হয়েছেন। তবে তাঁর চোট খুবই সামান্য।  অন্যদিকে হামলাকারীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। 

দিল্লির ব্রিটিশ লেখক ইউলিয়াম ডালরিম্পল প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। বলেথেন লেখক বা সাহিত্যিকদের বাক স্বাধীনতার প্রয়োজন। শিল্পিদের জন্য একটি একটি ভয়ঙ্করতম দিন। তিনি সলমন রুশদির সুস্থতা কামনা করেছেন। 
 

৭৫ বছর বয়সী সলমন রুশদি তাঁর বই স্যাটানিকএ ভার্সেসের জন্য ১৯৮০ শেষের দিকে হুমকির মুখোমুখি হয়েছিলেন। এই বইতে ইসলামের  সমালোচনা করেছেন তিনি। ১৯৮৮ সাল থেকেই ইরানের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে রুশদির জন্য। ইরানের শীর্ষ নেতারা তাঁর মাথার দামও ঘোষণআ করেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ফতোয়া। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক গত ২০ বছর ধরে আমেরিকার বাসিন্দা। হুমকি উপেক্ষা করেও  লেখা আর নিজের মতামত প্রকাশ করা থেকে কোনও দিনও পিছিয়ে আসেননি রুশদি। তাঁর বিখ্যাত বইগুলি হল মিডনাইটস চিলড্রেন। স্যাটানিক ভআর্সেস। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ২০০৭ সালে তাঁকে নাইট উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁকে স্যার উপাধিও দিয়েছিলেন। বুকার পুরষ্কার পেয়েছিলেন রুশদি। 

বিস্তারিত আসছে ...