সংক্ষিপ্ত

  • এক পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে হল মামলা।
  • নিউইয়র্ক শহরে এক বধির ব্যক্তি।
  • ওয়েবসাইটটির বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন তিনি।
  • চমকে উঠতে হয় মামলার কারণটি জানলে।

 

ইদানিং এমন এমন ঘটনার কথা শোনা যায়, যে বিস্মিত হতেই হয়। এই ঘটনাটিও সেইরকমই ঘটনা। আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে এক ব্যক্তি এক পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট বা প্রাপ্তবয়স্ক ওয়েবসাইট-এর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে এর থেকেও যে বিষয়টি হইচই ফেলে দিয়েছে তা হল তাঁর মামলা দায়েরের কারণ। ওয়েবসাইটির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, এটি  বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।

এক প্রথম সারির মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মামলাকারীর নাম ইয়ারোস্লাভ সুরিগ। তিনি বৈষম্যের অভিযোগ এনে একটি প্রথম সারির পর্ন ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাঁর আবেদনে সুরিগ বলেছেন, ওই ওয়েবসাইটগুলিতে প্রদর্শিত ভিডিওগুলিতে সাবটাইটেল থাকে না। তাই তিনি ভিডিওগুলি উপভোগ করতে পারেন না। এটা একটা বৈষম্যমূলক আচরণ বলেই দাবি করেছেন তিনি।

এখানে বলে রাখা ভালো সুরিগ জন্ম থেকেই বধির। তাই প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিওগুলির শব্দ তিনি শুনতে পান না। তিনি তাঁর মামলার আবেদনে বলেছেন, সাবটাইটেল ছাড়া বধির এবং যাদের শ্রবনের সমস্যা আছে তাদের কাছে ভিডিওগুলি পুরোপুরি উপভোগ্য হয় না। সাধারণ মানুষ যেভাবে ভিডিওগুলি উপভোগ করার সুযোগ পান, তাঁর মতো প্রতিবন্ধকতা থাকা মানুষ সেই সুযোগ পান না। এই কারণেই তাঁর অভিযোগ ওয়েবসাইটটি বধিরদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।

সুরিগ শুধু যে ওয়েবসাইটটিতে ভিডিওয় সাবটাইটেল চালুর দাবি তুলেছেন তাই নয়, ওয়েবসাইটটির কাছে তিনি ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন। তবে তাঁর এই মামলার পর অভিযুক্ত ওয়েবসাইটের ভাইস প্রেসিডেন্ট এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, তাঁদের সাইটে সাবটাইটেলযুক্ত একটি বিভাগও রয়েছে এবং মূল ভিডিও অংশে সাবটাইটেলযুক্ত ভিডিওগুলির লিঙ্কও দেওয়া আছে।