নাসার মহাকাশচারী মেঘান ম্যাকআর্থার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, মহাকাশে প্রথম জন্মানো লাল-সবুজ লঙ্কার স্বাদ তারা এই প্রথম পেলেন।

কেল্লাফতে নাসার (NASA) বিজ্ঞানীদের। অবশেষে মহাকাশে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে হাতে এল সাফল্য। নাসার বিজ্ঞানীরা এবার মাহাশূন্যেও ফসল ফলাতে সফল হলেন। মাহাকাশে নাসার বিজ্ঞানীরা লঙ্কা (chilli peppers) চাষ করেছেন। ন্যাশানাল অ্যারেনটিক্স অ্যান্ড স্পেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আগেই বলেছিল, 'উদ্ভিদ পরীক্ষাটি এখনও পর্যন্ত সবথেকে জটিল পরীক্ষা।'

নাসার মহাকাশচারী মেঘান ম্যাকআর্থার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, মহাকাশে প্রথম জন্মানো লাল-সবুজ লঙ্কার স্বাদ তারা এই প্রথম পেলেন। তিনি লিখেছেন, 'ফসল কাটার পর লাল সবুজ লঙ্কা তারা খেয়েছেন। আমরা সমীক্ষা শেষ করেছি, অবশেষে আমরা স্পেস টাকোস ইয়ার তৈরি করেছে। ফাজিটা বিফ, রিহাইড্রেটেড টমেটো আর আটিচোকস ও হ্যাক চিলি। '

Scroll to load tweet…

নাসা আগেই বলেছিল যে, মহাকাশের ফসল ফলানোর মূল উদ্দেশ্য হলে পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে যে মিশনগুলি পরিচালিত হবে তাতে যেন খাবার- অভিযাত্রীদের কাছে কোনও বড় সমস্যা হয়ে না দাঁড়ায়। এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্যই হল লম্বা মিশনগুলিতে অভিযাত্রীদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া। যে মিশনগুলি দীর্ঘ সময় ধরে চলবে তাতে পৃথিবী থেকে খাবার পাঠান রীতিমত কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই স্পেস স্টেশনেই বিকল্প ব্যবস্থা করার ওপর জোর দিয়েছিল নাসা। 

নাসার বিজ্ঞানীদের কথায় চাঁদ ও মঙ্গলে অভাযাত্রীদের খাবার পাঠান একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে অভিযাত্রীরা পৃথিবী থেকে প্যাকেট করা খাবার নিয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘ সংরক্ষেণের ফলে খাবারগুলির গণগত মান তলানিতে গিয়ে ঠেকে। ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-কে-র পরিমাণ কমতে থাকে। তাই ২০১৫ সাল থেকেই নাসা স্পেস স্টেশনে ফসল ফালোর উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ১০টি বিভিন্ন ধরনের ফলস ফলানো হয়েছে। 

লঙ্কাকে বেছে নেওয়া হয়েছে তার কারণ লঙ্কার পুষ্টিগুণের জন্য। লঙ্কাতে ভিটামিন-সি রয়েছে। যা অভিযাত্রীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। লঙ্কা খুব সহজেই ফলে। আর দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অভিযাত্রীদের খাবারে স্বাদ আনতেও লঙ্কা অনবদ্য। 

নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের একটি দল জানিয়েছে, ৪৮টি লঙ্কার দানা স্যানিটাইজ ও রোপণ করা হয়েছে। শিকড় বৃদ্ধির জন্য বেকড কাদামাটি দেওয়া হয়েছিল। মাহাকাশে লঙ্কা চাষের জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে আগেই সার তৈরি হয়েছিল পরীক্ষাগারে। সবমিলিয়ে নাসার বিজ্ঞানীরা লঙ্কা চাষে সাফল্যের মুখ দেখলেন। 

YouTube video player