সংক্ষিপ্ত

মঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা দিল 'পার্সিভেরেন্স'

নাসার তৈরি মহাকাশ যান

সর্বকালের বৃহত্তম, এবং সর্বাধিক পরিশীলিত মার্স রোভার

মঙ্গল গ্রহে প্রাচীন প্রাণের সন্ধান চালাবে

 

আকারের পৃথিবীতে যেসব গাড়ি চলে, তার থেকে একেবারেই বড় নয়। তাতে লাগানো রয়েছে ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, ড্রিল মেশিন এবং লেজার। এটাই মার্কিন মহাকাশ চর্চা কেন্দ্র 'পার্সিভেরেন্স'। বৃহস্পতিবার এই সর্বকালের বৃহত্তম, এবং সর্বাধিক পরিশীলিত মার্স রোভার-টি যাত্রা করল মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশ্যে। এই অভিযানের অন্য়তম লক্ষ্য প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহ থেকে পাথরের নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসা। সেই পাথরে খোঁজা হবে, মঙ্গল গ্রহে কোনও প্রাচীনকালে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না।

এই বছর মোট তিনটি দেশ মঙ্গল অভিযান করছে। চলতি মাসের শুরুতে এবং মাঝে যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং চিন তাদের মঙ্গল অভিযান শুরু করেছিল। এদিন এই বছরের তৃতীয় তথা চূড়ান্ত মঙ্গল অভিযান শুরু করল নাসা। একটি শক্তিশালী অ্যাটলাস ভি রকেট-এর মাধ্যমে পার্সিভেরেন্স মহাকাশযানকে পৃথিবীর বাধা কাটিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয় মহাকাশে। তিন দেশের তিন মহাকাশ যানই পরের সাত মাসে পাড়ি দেবে ৪কোটি ৮০ লক্ষ কিলোমিটার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই তিনটি যানই লাল গ্রহে পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

নাসার এই মার্স রোভারটি চলে প্লুটোনিয়াম জ্বালানিতে। এতে রয়েছে ছয়টি চাকা। মঙ্গলের পৃষ্ঠে ড্রিলিং করে এটি অসংখ্য ক্ষুদ্রাদিক্ষুদ্র ভূতাত্ত্বিক নমুনা সংগ্রহ করবে। ২০৩১ সালের মধ্যে সেই নমুনাগুলি পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। এই ফিরিয়ে আনার কাজে ব্যবহার করা হবে, একাধিক দেশের একাধিক মহাকাশযান। যেভাবে রিলে রেস হয়, সেভাবেই সেইসব মহাকাশ যানের মাধ্যমে পৃথিবীতে এসে পৌঁছবে পার্সিভেরেন্স-এর সংগ্রহ করা নমুনাগুলি। সব মিলিয়ে এই উচ্চাভিলাশী অভিযানে মোট খরচ হবে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। তবে এই অভিযানের ফলে পরবর্তীকালে মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানোর পথ সুগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।