সংক্ষিপ্ত

  • ইতিহাস তৈরির অপেক্ষায় কমলা হ্যারিস
  • উপরাষ্ট্রপতি পদের অন্যতম দাবিদার 
  • কমলা হ্যারিসের জন্য নির্ধারিত রাজকীয় বাসভবন 

ভারতে কমলা হ্যারিসকে নিয়ে যে উদ্দীপনা তৈরি হয়ে তার আভাস মিলিছে নেটদুনিয়ায়। কারণ ইতিমধ্যেই হোয়াটস অ্যাপে ঘুরছে হোয়াইট হাউসের ছবি। আর যেখানে  লাল অক্ষরে লেখা রয়েছে  'কমলা ভিলাস'। যার অর্থ কমলার বাড়ি। যদিও কমলা হ্যারিস যদি উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত তাহলে কিন্তু তিনি হোয়াইট হাউসে থাকবে না। কারণ দুই শতক ধরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস। তাই প্রথা মেনে জো বিডেন তাঁর পরিবার নিয়ে সেখানেই থাকবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোথায় থাকবেন কমলা হ্যারিস? 

আসল কমলা ভিলাসের সরকারি ঠিকানা হল হোয়াইট হাউস থেকে কয়েক মাইল দুরেই এক নম্বর অরজারভেটরি সার্কেল। মার্কিন নৌসেনা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কেন্দ্র স্থলে অবস্থিত। ১৮৯৩ সালে ১২ একর জায়গা নিয়ে তৈরি হয়েছিল উপরাষ্ট্রপতি ভবন। তবে প্রথম দিকে এটি ব্যবহার করত পর্যবেক্ষণের সুরাপিনটেনডেন্ট ব্যবহার করতেন। ১৯২৪ সালে এই বাসভবন ব্যবহার করা শুরু করেন মার্কিন নৌবাহিনীর প্রধানরাষ। প্রায় ৫০ বছর পরে এটি উপরাষ্ট্রপতি ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করেছিল। 

হ্যারিসকে নিয়ে যথেষ্ট উদ্দীপনা রয়েছে। তামিলনাড়ুর প্রত্যন্ত গ্রাম থেলুসেন্দ্রপুরমের বাসিন্দা ছিলেন হ্যারিসের মা। পড়াশুনার জন্য তিনি চলে গিয়েছিলেন আমেরিকা। কিন্তু তারপরেও এই গ্রামের বাসিন্দারা কমলা হ্যারিসকে নিজের আত্মীয়ই মনে করে। তাঁর দাদামশাই ভোটে তাঁর জয়ের প্রার্থনা করে পুজোর ব্যবস্থা করেছিলেন। গোটা গ্রাম জুড়েই হ্যারিসের সমর্থনে পড়েছে পোস্টার। গ্রামের মহিলারা হ্যারিসের জন্য প্রার্থনা করে রঙ্গোলিও তৈরি করেছিলেন।

যদিও প্রথম দিনে মার্কিন উপরাষ্ট্রপতিরা তাঁদের বাড়ি থেকেই কাজকর্ম পরিচালনা করতেন। কিন্তু পরবর্তীকালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁরা সরকারি বাসভবন ব্যবহার করা শুরু করেন। বিডেন ২০০৮ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই বাড়িতেই ছিলেন। আগামী দিনে তাঁর সহকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এই বাড়িতেই থাকবেন বলে আশা করা যায়। 


ইতিহাস তৈরির অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী তথা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। হোয়াইট হাউসের দৌড়ে তিনি অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন। আগামী দিনে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা নির্বাচনী ফলাফল যা ইঙ্গিত দিচ্ছে তাতে রাষ্ট্রপতি হবেন ধরে নেওয়া যেতেই পারে। তিনি যদি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হন তাহলে আরও একটি রেকর্ড তৈরি করবেন। কিনি হবে প্রথম কোনও কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ যিনি এই গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকারী।