শনির আশীর্বাদ পেতে চান, তাহলে পালন করুন শনি জয়ন্তী, জানুন পুজোর তিথি
হিন্দু শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে একাধিক দেব দেবীর, আর বিভিন্ন তিথি ও দিন উৎসর্গ করা হয়েছে তাঁদের উদ্দেশ্যে, সেই তিথি অনুসারে দেব দেবীর আরাধনা করা হয়ে থাকে, শাস্ত্র মতে, সঠিক তিথিতে দেবতার আরাধনা করতে সৌভাগ্য লাভ করা সম্ভব।
হিন্দু শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে একাধিক দেব দেবীর, আর বিভিন্ন তিথি ও দিন উৎসর্গ করা হয়েছে তাঁদের উদ্দেশ্যে, সেই তিথি অনুসারে দেব দেবীর আরাধনা করা হয়ে থাকে, শাস্ত্র মতে, সঠিক তিথিতে দেবতার আরাধনা করতে সৌভাগ্য লাভ করা সম্ভব। সঙ্গে জীবনর সর্বক্ষেত্রে সাফল্য আসবে, সেই মত অনুসারে প্রতি বছর জৈষ্ঠ্য মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যায় পালিত হয় শনি জয়ন্তী, খারাপ সময় কাটাতে সকলেই পুজো করেন শনি দেবতার, নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে শনি দেবতার পুজো করলে মুক্তি পাওয়া সম্ভব সকল জটিলতা থেকে। তিথি অনুসারে এবছর ৩০ মে পালিত হবে শনি জয়ন্তী, অমাবস্যা পড়ছে ২৯ মে রবিবার বেলা ২.৫৪ মিনিটে, ২০ মে সোমবার ৪.৫৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে যোগ, এই দিন রয়েছে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, গঠিত হবে অভিজিৎ মুহূর্ত, অর্থাৎ এবছর শনি জয়ন্তীতে রয়েছে বিশেষ যোগ। এখন প্রশ্ন হল কীভাবে এই দিন শনি দেবতার পুজো করবেন, শনি দেবতার পুজো করার আগে এই পুজোর রীতি সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তির থেকে বিস্তারিত জেনে নেবেন, একবার শনি দেবের রুষ্ট্র হলে জীবন ছারখার হয়ে যায়। তাই নিষ্ঠার সঙ্গে ও ভক্তিভরে পুজো করা উচিত, ভক্তিভরে দেবতার পুজো করলে সকল পাপ ধুয়ে যায়, সঙ্গে চাকরি ও ব্যবসা সংক্রান্ত জটিলতা দূর হয়, তেমনই কেটে যায় জীবনের সকল দুঃখ কষ্ট। এদিন সকালে স্নান সেরে মন্দির পরিষ্কার করুন, তারপর ফুল দিয়ে মন্দির সাজান, সারাদিন উপবাস করবেন, নির্দিষ্ট তিথিতে সব নিয়ম মেনে পুজো করুন শনি দেবতার, শনি জয়ন্তী দিন শনি চালিসা পাঠ করবেন। সরষের তেলের দিয়ে প্রদীপ বানিয়ে দেবতার সামনে রাখুন, এতে জীবনের সকল দুর্ভোগ কেটে যাবে, শাস্ত্র মতে, শনি দেবের কৃপা পেলে সব কাজে সফল হবেন, তেমনই মুক্তি পাবেন সকল জটিলতা থেকে। শাস্ত্র মতে, বিভিন্ন গ্রহের শুভ ও অশুভ প্রভাব পড়ে আমাদের জীবনে, গ্রহের ভালো প্রভাবে যেমন শুরু হয় শুভ সময়, তেমনই খারাপ সময় শুরু হয় অশুভ প্রভাবে, শাস্ত্র মতে, এই সকল খারাপ সময় থেকে বের হওয়া সম্ভব, এর জন্য মেনে চলতে পারেন জ্যোতিষ টোটকা। তেমনই নিষ্ঠা ভরে দেবতার পুজো করুন, উপকার পাবেন, বিশেষ তিথিতে পালন করতে পারন বিশেষ ব্রত।