Exclusive Interview : আসছে বাংলা 'ব্লকবাস্টার' ধর্মযুদ্ধ, তার আগে একান্ত সাক্ষাৎকারে শুভশ্রী ও পার্ণো
অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। গত ২ বছর ধরেই রাজ চক্রবর্তীর এই ছবি-কে ঘিরে কৌতুহলের শেষ নেই। বাংলা ছবির দর্শকদের অনেকেরই প্রশ্ন ছিল কবে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। অবশেষে এই প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে ১১ অগাস্ট। স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর পূর্তি বর্ষের চার দিন আগেব মুক্তি পাচ্ছে ধর্মযুদ্ধ।
ধর্মযুদ্ধ। কেন এমন নাম! অনেকটা আবার মহাভারতের কাহিনিকে স্মরণ করানোর মতো। আসলে আগে এই ছবির নাম ছিল গর্ভধারিনী। পরবর্তী সময়ে এই নাম বদলে দেওয়া হয়। রাজ চক্রবর্তীও এই ছবি নিয়ে প্রবল আশাবাদী। বলা হচ্ছে এটা রাজ চক্রবর্তীর একটা প্রচণ্ড স্বপ্নের প্রজেক্ট। এই ছবিটিকে তৈরি করতে প্রবল পরিশ্রম করেছেন রাজ এবং সেই সঙ্গে ছবির কলাকুশলী থেকে শুরু করে অভিনেতা-অভিনেত্রী সকলেই প্রবল পরিশ্রম করেছেন। ছবিটি মুক্তির আগে এশিয়ানেট নিউজ বাংলার মুখোমুখি হয়েছিলেন ছবির দুই অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্য়ায় এবং পার্ণো মিত্র। দুজনের মতেই ধর্মযুদ্ধ এমন একটি ছবি যে এর হল রিলিজ ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। কারণ এই ছবির মর্মাথকে অনুভব করতে হলে, ছবির নির্যাসকে আকুণ্ঠ পান করতে গেলে হলে বলে ধর্মযুদ্ধ দেখতেই হবে বলে মনে করছেন শুভশ্রী ও পার্ণো। শুভশ্রীর মতে, রাজ চক্রবর্তীর স্ত্রী মানেই যে তিনি এই ছবির উপর নিজের কর্তৃত্ব ফলিয়েছেন এমনটা হয়নি, কারণ পেশাগত জীবনে রাজ ও তিনি যথেষ্ট একটা সীমানা মেনে চলেন। কেউ কারও কাজে খবরদারি করেন না বলেই জানিয়েছেন শুভশ্রী। এমনকী তাঁর মতে, প্রথমে তিনি এই ছবিটি-তে যে অভিনয় করবেন তা ঠিকই ছিল না। তবে ছবির চিত্রনাট্য পড়ে খুব ভালো লেগেছিল। তাই রাজের কাছে তাঁর একটাই আব্দার ছিল অভিনয়ে সুযোগ না দিলেও অন্তত যেন পরিচালকের সহকারী হিসাবে কাজের সুযোগ তাঁকে দেওয়া হয়। পার্ণো মিত্র-ও এই ছবির অতি একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন। তাঁর মতে ধর্মযুদ্ধের পোস্ট প্রোডাকশনের পর তিনি দেখেছেন এবং তাতে তাঁর মনে হচ্ছে মুক্তির পর গল কাপাতে চলেছে এই ছবি।