ইউসুফ থেকে সিনে দুনিয়ার 'ট্র্যাজিক কিং', ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডও ছিল দিলীপ কুমারের ঝুলিতে

  • ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর পেশোয়ারে জন্ম দিলীপ কুমারের
  • পরিবার থেকে তাঁর নামকরণ করে মহম্মদ ইউসুফ খান
  • বাবা ছিলেন একজন ফল ব্যবসায়ী মা ছিলেন গৃহবধূ
  • জেনে নিন দিলীপ কুমার সম্পর্কে অজানা কিছু ঘটনা

/ Updated: Jul 07 2021, 03:23 PM IST

Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর পেশোয়ারে জন্ম দিলীপ কুমারের। পরিবার থেকে তাঁর নামকরণ করে মহম্মদ ইউসুফ খান। বাবা ছিলেন একজন ফল ব্যবসায়ী মা ছিলেন গৃহবধূ। নাসিকের দেওলালির বার্নেস স্কুলে ইউসুফের পড়াশোনা। রাজ কাপুর ছিলেন তাঁর ছেলে বেলার বন্ধু। ১৯৪০ সালে বাড়ি ছেড়ে পুনেতে চলে যান ইউসুফ। সেখানে আর্মি ক্যান্টিনে স্টান্ডুইচ স্টলে কাজ করতেন তিনি। পরে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যান তিনি। ১৯৪২-এ ইউসুফ পা রাখেন বম্বে টকিজে। বম্বে টকিজের কর্ণধার দেবিকারানির নজরে আসেন তিনি। সেখানে চিত্রনাট্য লেখার বিভাগে কাজ দেওয়া হয় তাঁকে। শুরু হয় তাঁর জীবনের নতুন এক অধ্যায়। ইউসুফ থেকে তিনি হয়ে ওঠেন দিলীপ কুমার। ১৯৪৪ সালে ‘জোয়ার ভাঁটা’ ছবিতে লিড রোলে চান্স পান তিনি। প্রথম ছবিতে তেমন সাফল্য পাননি দিলীপ কুমার। ১৯৪৭ সালে হিট হয় 'জুগনু' ছবিটি। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি দিলীপ কুমারকে। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। মুঘল-এ-আজম থেকে ক্রান্তি -র মত একাধিক ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। বেশির ভাগ ট্রেডেজি ছবিতে অভিনয় করতেন তিনি। চলচ্চিত্র জগতে তাঁর নাম হয়ে যায় 'ট্র্যাজিক কিং'। ১৯৫৬ সালে প্রথমবার ‘দাগ’ছবির জন্য ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও। ভারতীয় সিনেমায় এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। এ হেন শিল্পীর প্রয়াণে শোকের ছায়া সিনে দুনিয়ায় জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে হেরে গিয়েও চির অমর হয়ে থাকবেন 'ট্র্যাজিক কিং'।