সাত-সকালে ক্ষুদে পড়ুয়াদের নিয়ে খুলল স্কুল, পুলিশ এসে ঝোলাল তালা
করোনাভাইরাসের মধ্যে আচমকাই স্কুল কুলে দিলেন প্রধানশিক্ষক। যার জেরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার কদমতলায়। শেষমেশ ব্যাটরা থানার পুলিশ এসে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রধানশিক্ষকের দাবি, অনলাইন ক্লাসে পড়ুয়াদের কিছু অসুবিধা হচ্ছিল, তাই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খুলে গেল স্কুল। স্থানীয় বোধদয় নামে প্রাথমিক স্কুলের এমন ঘটনায় হতবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ, করোনাভাইরাসের আবহে লকডাউন চলছে। যার জেরে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন করে স্কুল খোলা নিয়ে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আলোচনা করছে। এমতাবস্থায় স্কুল খোলা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি সরকার। কিন্তু, সে সবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই বোধদয় স্কুল খুলে দেয়। জানা যায়, ৫০ পড়ুয়া এই স্কুলে এদিন চলেও আসে পঠন-পাঠনে অংশ নিতে। অভিভাবকরাও জানান, ২৬ জানুয়ারি এসএমএস করে স্কুল খোলার কথা জানানো হয়েছিল। অভিভাবকরাও এমন এসএমএস পেয়ে নাকি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনিয় নির্দেশের কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ তা দেখাতে পারেনি। এরপরই ব্যাটরা থানায় অভিযোগ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ এসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেয়। পড়ুয়াদের বাড়িও পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্কুলের প্রধানশিক্ষক মলয় জানান, অনলাইন ক্লাসে পড়ুয়ারা অঙ্ক এবং ইংরাজিতে সমস্যায় পড়ছিল। সেই সমস্যা কাটাতেই স্কুল খোলা হয়েছিল। তাঁর দাবি, স্কুল ফুলটাইমের জন্য খোলা হয়নি। অঙ্ক এবং ইংরাজির সমস্যা সমাধানের জন্য ২ থেকে ৩ ঘণ্টার স্কুল খোলা হয়েছিল। কোভিডবিধি মেনেই নাকি স্কুল খোলার দাবি করেছেন তিনি। মলয় রায়ের দাবি, চলচ্চিত্র উৎসব যদি হতে পারে, গানমেলা যদি হতে পারে, সিনেমা হল যদি খুলতে পারে, তাহলে কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে দেওয়া হবে না।