করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ১০০ বছরের ভাইরাস সংক্রমণকে হার মানাতে চলেছে, দাবি চিকিৎসক মানস গুমটার
ক্রমশই বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে পরিস্থিতি আরও চরম আকার ধারণ করবে। কারণ, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রথমের থেকে অনেকবেশি শক্তিশালী। ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আম-জনতার উদাসিনতা এবং রাজনৈতিক নেতাদের রাজনীতির দিকেই আঙুল তুলেছেন।
মাত্র ২ মাসের মধ্যেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চিন্তা ধরিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। ল্যানসেট বলে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এমন কিছু তথ্যকে সামনে এসেছে তা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। কারণ, ল্যানসেটের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতে সংক্রমণের হার যা ছিল তার থেকে ৪০০গুণ বেশি সংক্রমণ হয়েছে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে। এমনকী মৃতের সংখ্যাতে ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। চিকিৎসক মানস গুমটাও মনে করছেন পরিস্থিতি যতটা সহজ মনে হচ্ছে ততটা নয়। তারমতে, ১০০ বছরের ইতিহাসে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ-এর সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ডেকে আনার ক্ষমতা রাখে। রোজই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, ,সংক্রমণ প্রতিরোধে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বহুবার চিঠিও দেওয়া হয়েছে। এই সব চিঠিতে পরিস্কার করেই সংক্রমণ রোধে বেশকিছু জিনিসে নিয়ন্ত্রণের কথা নাকি তাঁরা বলেছিলেন। কিন্তু, মমতা .বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে কোনও কর্ণপাতই করেননি। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের নামে যেভাবে সভা-সমিতি-মিছিল অনুষ্টিত হচ্ছে তারও সমালোচনা করেছেন তিনি। মানস গুমটা জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল বিষয়টি কড়া হাতে মোকাবিলা করা। ভোটের প্রচারের উপর কঠোর নিয়ম যাতে বলবৎ থাকে তা নিশ্চিত করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।