সবথেকে বড় গদ্দার মমতা, পাল্টা দিলেন মুকুল, ৪ সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগের দাবি
- মুকুল পুত্রকে ছোট গদ্দার বলেছিলেন মমতা
- মমতাকে জবাব দিলেন মুকুল
- যোগাযোগ রাখছেন চার তৃণমূল সাংসদ, দাবি বিজেপি নেতার
এতদিন মুকুল রায়কে গদ্দার বলতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় বিজেপি-তে যোগ দেওয়ায় তাঁকেও ছোট গদ্দার বলে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরেই তার জবাব দিলেন মুকুল রায়। মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণ করে তাঁর দাবি, সবথেকে বড় গদ্দারের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজের দাবির স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন মুকুল। তিনি বলেন, "ভারতবর্ষের রাজনীতিতে একদিন গদ্দার শব্দটা লেখা হবে। সেখানে সবার উপরে নাম থাকবে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের। ওনাকে পাঁচ বার সাংসদ করেছে কংগ্রেস, মন্ত্রী করেছে। সব নিয়ম ভেঙে তাঁকা যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী করেছেন। যেই কংগ্রেস বিপাকে পড়েছে, সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস ছেড়ে পালিয়ে নতুন দল করেছেন। সেই নতুন দলকে বুক দিয়ে আগলেছেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। মাত্র সাতজন সাংসদ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে রেলমন্ত্রী করেছেন। যেই বিজেপি একটু বিপাকে পড়েছে, সেখান থেকে পালিয়ে এসেছেন। ফলে ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবথেকে বড় গদ্দার হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামই লেখা থাকবে।"
আগামী ১৪ তারিখ কাঁচরাপাড়ায় সভা করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুকুলের অবশ্য দাবি, বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে বীজপুর, কাঁচরাপাড়ায় নিজের জনসমর্থনের প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করবেন মমতা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, "এবার বীজপুরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি, এমন অভিযোগ নেই। তা সত্ত্বেও মানুষ বিজেপি-কে ভোট দিয়েছে। এটা মানতে হবে। মানুষের রায় মাথা পেতে নেওয়ার জন্য মানসিকতা তৈরি করতে হবে।"
একই সঙ্গে এ দিন ফের তৃণমূল ভাঙানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুকুল। কোনও রাখঢাক না করেই তাঁর দাবি, তৃণমূলের টিকিটে জয়ী চারজন সাংসদ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। শুধু তাই নয়, চল্লিশ থেকে পঞ্চাশজন বিধায়ক এবং বহু গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদের সদস্যরাও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে আসার জন্য তৈরি বলে দাবি মুকুলের।
এ দিন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন মুকুল। তাঁর দাবি, নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন এই পুলিশ আধিকারিকই। মুকুলের অভিযোগ, তৃণমূলের ঠিক করে দেওয়া তালিকা ধরে ধরে ব্যারাকপুরে বিজেপি কর্মী এবং নেতাদের হেনস্থা করছে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই নৈহাটি, ভাটপাড়া, কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর পুরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূল নেতা এবং উত্তর চব্বিশ পরগণার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অভিযোগ করেছেন, বন্দুকের নলের সামনে তৃণমূল কাউন্সিলরদের দলবদলে বাধ্য করা হয়েছে। এ দিন তাঁর জবাব দিয়ে মুকুল বলেন, "২০০৯ সালে পঞ্চাশ থেকে পঞ্চান্নটি পুরসভা এভাবেই দখল করেছিল তৃণমূল। তখন কি বন্দুকটা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ধরেছিলেন?"