Aparajita And Soumitra- ২৫০ টাকায় ধৈর্যের প্রতীক্ষা ও সৌমিত্র জেঠু- স্মৃতির ঘট উপর করলেন অপরাজিতা
এশিয়ানেট নিউজ বাংলার মুখোমুখি হয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর কাছে কত বড় মানুষ এবং শিক্ষাগুরু তা তিনি মাত্র কয়েকটি কথা বা এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বুঝিয়ে বলতে পারবেন না।
সৌমিত্র স্মৃতিচারণায় অপরাজিতা আঢ্য। ইতিমধ্যেই ২৫ বছরেরর ফিল্মি কেরিয়ারের মাইল ফলক ছুঁয়ে ফেলেছেন অপরাজিতা। যার জেরে বাংলা চলচ্চিত্রে বহু গুণী মানুষের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এমনসব মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে সেরা মানুষটি ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এমনটাই মনে করেন অপরাজিতা। এশিয়ানেট নিউজ বাংলার মুখোমুখি হয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর কাছে কত বড় মানুষ এবং শিক্ষাগুরু তা তিনি মাত্র কয়েকটি কথা বা এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বুঝিয়ে বলতে পারবেন না। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এমন একজন মানুষ যার চলে যাওয়াটা আজও তিনি অনুভব করেন সমানভাবে। সেই ছোট থেকে শুরু হয়েছিল সৌমিত্রজেঠুর সঙ্গে এক অসামান্য সম্পর্ক। তখন মনোরমা কেবিনে নাকি কাজ করছিলেন অপরাজিতা। তাঁর শট টেক করতে অনেক দেরি হচ্ছিল। মনোরমা কেবিনে তখন কাজ করছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। অধৈর্য হয়ে বাইরে গিয়ে নিমফল নিয়ে খেলতে শুরু করেছিলেন অপরাজিতা। তাঁকে এমনভাবে দেখতে পেয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কৌতুহল হয়েছিল। তিনি অপরাজিতা ডেকে জানতে চেয়েছিলেন মনোরমা কেবিনে অভিনয়ের জন্য কত টাকা তিনি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। সব জেনে এসে অপরাজিতা জানান ২৫০ টাকা পারিশ্রমিক। এতে নাকি হাসতে হাসতে সৌমিত্র বলেছিলেন বাবা এত অনেক টাকা। সৌমিত্র নাকি জানান, আসলে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে সেটে যাতে অপরাজিতা ধৈর্য ধরে প্রতীক্ষা করেন তার জন্য। অপরাজিতার কথায় তিনি নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছিলেন। এমন বহু প্রাণের কথায় সৌমিত্র স্মরণে নিজেকে উজার করে দিয়েছেন অপরাজিতা। এই সাক্ষাৎকাররের ভিডিও অংশটি-কে মোট ৫টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।