সুন্দরবন বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ উমাশঙ্করের, ১২ বছরে লাগালেন ৬ লক্ষেরও বেশি গাছ

গোসাবার চরঘেরির বাসিন্দা উমাশঙ্কর মণ্ডল। এই উমাশঙ্করই এখন ‘ম্যানগ্রোভ ম্যান’ নামে পরিচিত। পেশায় স্কুল শিক্ষক উমাশঙ্কর মণ্ডল। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছরে ধরে গাছ লাগিয়ে আসছেন তিনি। প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষেরও বেশি ম্যানগ্রোভ রোপণ করেছেন। ২০০৯ সালে আয়লায় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার নদীবাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। আয়লার পরই সুন্দরবন বাঁচাতে তিনি এই উদ্যোগ নেন। প্রথমে পরিবারের সঙ্গে এই কাজ শুরু করলেও এখন গ্রামের মানুষও রয়েছে তাঁর পাশে। প্রথমে জোয়ারের জলে ভেসে আসা ম্যানগ্রোভের বীজ গ্রামের মহিলাদের দিয়ে সংগ্রহ করা হয়। এরপর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই সেই বীজ লাগানো হয় নদীর চরে। সেখান থেকে গাছ হলে তা তুলে নিয়ে সারা বছর ধরেই এলাকার বিভিন্ন নদীর চরে বসানো হয় ম্যানগ্রোভ। গ্রামের মহিলাদেরকেই একাজে মূলত উদ্বুদ্ধ করেছেন উমাশঙ্কর। তবে টাকা পয়সার বিনিময়ে নয়, বরং তাঁদের প্রয়োজন অনুযায়ী শাড়ি, ন্যাপকিন, বিভিন্ন ধরনের আনাজ ও আনাজের বীজ, মুড়ি, চাল, পড়ুয়াদের জন্য বই, খাতা ইত্যাদি দেওয়া হয় পারিশ্রমিক হিসেবে। 
 

/ Updated: Jul 12 2021, 05:05 PM IST
Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

গোসাবার চরঘেরির বাসিন্দা উমাশঙ্কর মণ্ডল। এই উমাশঙ্করই এখন ‘ম্যানগ্রোভ ম্যান’ নামে পরিচিত। পেশায় স্কুল শিক্ষক উমাশঙ্কর মণ্ডল। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছরে ধরে গাছ লাগিয়ে আসছেন তিনি। প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষেরও বেশি ম্যানগ্রোভ রোপণ করেছেন। ২০০৯ সালে আয়লায় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার নদীবাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। আয়লার পরই সুন্দরবন বাঁচাতে তিনি এই উদ্যোগ নেন। প্রথমে পরিবারের সঙ্গে এই কাজ শুরু করলেও এখন গ্রামের মানুষও রয়েছে তাঁর পাশে। প্রথমে জোয়ারের জলে ভেসে আসা ম্যানগ্রোভের বীজ গ্রামের মহিলাদের দিয়ে সংগ্রহ করা হয়। এরপর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই সেই বীজ লাগানো হয় নদীর চরে। সেখান থেকে গাছ হলে তা তুলে নিয়ে সারা বছর ধরেই এলাকার বিভিন্ন নদীর চরে বসানো হয় ম্যানগ্রোভ। গ্রামের মহিলাদেরকেই একাজে মূলত উদ্বুদ্ধ করেছেন উমাশঙ্কর। তবে টাকা পয়সার বিনিময়ে নয়, বরং তাঁদের প্রয়োজন অনুযায়ী শাড়ি, ন্যাপকিন, বিভিন্ন ধরনের আনাজ ও আনাজের বীজ, মুড়ি, চাল, পড়ুয়াদের জন্য বই, খাতা ইত্যাদি দেওয়া হয় পারিশ্রমিক হিসেবে।