Indira Gandhi Death Anniversary- যেদিন তিনি মৃত্যুর কথা বলেছিলেন, তার পরের দিন বুলেটে ঝাঁঝরা হয়েছিল শরীর

১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর, ব্যক্তিগত দুই দেহরক্ষীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ইন্দিরা গান্ধীর দেহ। গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে মিসেস গান্ধীর ওপরে এরকম একটা হামলা হতে পারে তাও ইন্দিরা কোনো পদক্ষেপ নেন নি। অপারেশন ব্লুস্টারের পর প্রধানমন্ত্রীর আবাস থেকে সব শিখ নিরাপত্তা-কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হলে ইন্দিরা ভীষণ রেগে গিয়ে বলেছিলেন,  Are not we secular?  আমরা না ধর্মনিরপেক্ষ দেশে বাস করি? ওড়িশায় জীবনের শেষ ভাষণ দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। আর সেই ভাষণেও তিনি আভাষ দিয়েছিলেন নিজের মৃত্যুর। প্রতিটা ভাষণের মতোই ইন্দিরার সেই ভাষণ লিখে দিয়েছিলেন মিসেস গান্ধীর মিডিয়া উপদেষ্টা এইচওয়াই শারদা প্রসাদ। কিন্তু ভাষণ দিতে দিতে হঠাৎই শারদা প্রসাদের লেখা বয়ান থেকে সরে গিয়ে নিজের মতো বলতে শুরু করেন ইন্দিরা। তার বলার ধরনও পাল্টে গেছিল সেদিন। তিনি বললেন, "আমি আজ এখানে রয়েছি। কাল নাও থাকতে পারি। এটা নিয়ে ভাবি না যে আমি থাকলাম কী না। অনেকদিন বেঁচেছি। আর আমার গর্ব আছে যে আমি পুরো জীবনটাই দেশের মানুষের সেবায় কাজে লাগাতে পেরেছি বলে। আর শেষ নিশ্বাস নেওয়া পর্যন্ত আমি সেটাই করে যাব। আর যেদিন মারা যাব, সেদিনও আমার রক্তের প্রতিটা ফোঁটা ভারতকে আরও মজবুত করার কাজে লাগাবো।"
 

/ Updated: Apr 26 2022, 10:16 AM IST

Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর, ব্যক্তিগত দুই দেহরক্ষীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ইন্দিরা গান্ধীর দেহ। গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে মিসেস গান্ধীর ওপরে এরকম একটা হামলা হতে পারে তাও ইন্দিরা কোনো পদক্ষেপ নেন নি। অপারেশন ব্লুস্টারের পর প্রধানমন্ত্রীর আবাস থেকে সব শিখ নিরাপত্তা-কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হলে ইন্দিরা ভীষণ রেগে গিয়ে বলেছিলেন,  Are not we secular?  আমরা না ধর্মনিরপেক্ষ দেশে বাস করি? ওড়িশায় জীবনের শেষ ভাষণ দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। আর সেই ভাষণেও তিনি আভাষ দিয়েছিলেন নিজের মৃত্যুর। প্রতিটা ভাষণের মতোই ইন্দিরার সেই ভাষণ লিখে দিয়েছিলেন মিসেস গান্ধীর মিডিয়া উপদেষ্টা এইচওয়াই শারদা প্রসাদ। কিন্তু ভাষণ দিতে দিতে হঠাৎই শারদা প্রসাদের লেখা বয়ান থেকে সরে গিয়ে নিজের মতো বলতে শুরু করেন ইন্দিরা। তার বলার ধরনও পাল্টে গেছিল সেদিন। তিনি বললেন, "আমি আজ এখানে রয়েছি। কাল নাও থাকতে পারি। এটা নিয়ে ভাবি না যে আমি থাকলাম কী না। অনেকদিন বেঁচেছি। আর আমার গর্ব আছে যে আমি পুরো জীবনটাই দেশের মানুষের সেবায় কাজে লাগাতে পেরেছি বলে। আর শেষ নিশ্বাস নেওয়া পর্যন্ত আমি সেটাই করে যাব। আর যেদিন মারা যাব, সেদিনও আমার রক্তের প্রতিটা ফোঁটা ভারতকে আরও মজবুত করার কাজে লাগাবো।"