মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনের এক অজানা কাহিনি, যা আজও অনেকেরই অজানা
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও কালীঘাটের টালির চালের একতলা বাড়িটি ছেড়ে চলে যাননি মমতা। বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে মমতার বাড়িতে এখনও জল ঢুকে যায়। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন এবার৷ তাঁর নামের পাশে ‘জননেত্রী’, ‘অগ্নিকন্যা’ বিশেষণগুলি বসার একাধিক কারণ রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব প্রিয় একটা রাজনৈতিক স্লোগান হল, "হামসে যো টকরায়েগা, চুরচুর হো জায়েগা।" মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই তিনি রাজনীতির ইনিংস শেষ করবেন, নাকি দিল্লিতেও তাকে একদিন প্রধানমন্ত্রীত্বের দাবিদার হিসেবে দেখা যাবে সেটাই এখন দেখার।
কলকাতার কালীঘাট এলাকার এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্ম মমতা ববন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ আর ইসলামিক হিস্ট্রিতে রয়েছে মাস্টার ডিগ্রি৷ যোগেশচন্দ্র কলেজ থেকে আইনের ডিগ্রি নেওয়ার পর মমতার পেশা ছিল স্কুলশিক্ষকতা। এছাড়া তিনি কিছুদিন সেলসেরও কাজ করেন। রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় ছাত্রজীবন থেকেই । অল্পদিনের মধ্যেই দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে মমতা রাজনীতিতে অনেকদূর অবধি যাবেন। মমতা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "খুব কষ্টসাধ্য ছিল আমার ছোটোবেলার জীবন। ছোট্টবেলায় বাবা মারা গেছেন। তখন আমরা ৬ ভাই ২ বোন, বড় সংসার। ছোট্ট ভাইটার বয়স তখন ২ বছর। আমার ওপর দাদা, আর তারপর আমি। সংসার চালিয়েছি আমি খুব কষ্ট করে। ভোর তিনটের সময় ঘুম থেকে উঠতাম। রান্না করতাম। বাড়ির কাজ করতাম। মায়ের কষ্ট হবে। তাই তাঁকে রান্না করতে না দিয়ে নিজে রান্না করতাম। তারপর কলেজে যাওয়া। সেখান থেকে বেরিয়ে লাইব্রেরি যাওয়া। খাতায় সব লিখে আনতে রাত হয়ে যেত। তাই করেছি দিনের পর দিন। কি করব! বই কেনার টাকা ছিল না। কেউ দেয়ওনি। তাই সেই কষ্টের অতীত মনে রেখে আজ স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বই তুলে দিই।" মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও কালীঘাটের টালির চালের একতলা বাড়িটি ছেড়ে চলে যাননি মমতা। বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে মমতার বাড়িতে এখনও জল ঢুকে যায়। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন এবার৷ তাঁর নামের পাশে ‘জননেত্রী’, ‘অগ্নিকন্যা’ বিশেষণগুলি বসার একাধিক কারণ রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব প্রিয় একটা রাজনৈতিক স্লোগান হল, "হামসে যো টকরায়েগা, চুরচুর হো জায়েগা।" মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই তিনি রাজনীতির ইনিংস শেষ করবেন, নাকি দিল্লিতেও তাকে একদিন প্রধানমন্ত্রীত্বের দাবিদার হিসেবে দেখা যাবে সেটাই এখন দেখার।