২০১৯-এর এমন কিছু সেরা খবর, যা ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবে, পর্ব ১

  • ভারতের জাতীয় নীতিতে ২০১৯ গুরুত্বপূর্ণ
  • এমনকী পাকিস্তান নীতিতেও বেশ কড়া বার্তা ভারতের
  • পুলওয়ামা হামলায় বছরের শুরুতে আতঙ্ক
  • এয়ার স্ট্রাইক করে ভারত তার প্রত্যুত্তর দিয়েছিল 
/ Updated: Dec 31 2019, 05:39 PM IST
Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা- 
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯-এর এই জঙ্গি হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের প্রাণ যায়। জইশ-ই-মহম্মদ-এর জঙ্গিরা এই আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল। কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপুরার কাছে লেথপুরা-য় সিআরপিএফ কনভয়ে এই ঘটনা ঘটে। ৭৪টি বাস ও ট্রাকে করে ২৫০০ সিআরপিএফ জওয়ানদের-কে জম্মু থেকে শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই জঙ্গি হামলায় নিহতদের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের দুই সিআরপিএফ জওয়ান-ও ছিল। নিহত জওয়ানদের মধ্যে সবেচেয়ে বেশিজন ছিলেন উত্তর প্রদেশ থেকে। ২০১৯-এর শুরুতেই এই জঙ্গি হামলার ঘটনা পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও তলানিতে নিয়ে যায়। আন্তর্জাতিক স্তরেও পাকিস্তানের ভূ-খণ্ড থেকে মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় নিয়ে ইসলামাবাদ-কে চাপে ফেলে দিল্লি। 

বালাকোট হামলা-
উরি হামলার পর পাক ভূখণ্ডে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল ভারত। পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর ভারত ফের একবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে। তবে, এবারের এই হামলা হয় আকাশপথে। ভারতীয় বায়ু সেনার একটি দল ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের খাইবার-পাখতুনখোয়ার বালাকোটে ভোররাতে হামলা চালায়। বালাকোটে থাকা জঙ্গি ক্যাম্পে হামলা হয়। ভারতীয় বায়ু সেনা জানায় এই হামলায় অসংখ্য জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এই জঙ্গি ঘাঁটিটি জইশ-ই-মহম্মদ-এর ছিল বলেও জানায় বায়ুসেনা। 

অভিনন্দন বর্তমান-
ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের বদলা নিতে কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের দুই যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ু সেনার যুদ্ধবিমান পাল্টা ধাওয়া করে পাক বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানকে। এই পরিস্থিতিতে পাক এফ ১৬-র ছোড়া মিসাইলে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ভেঙে পড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার স্কোয়ারড্রন অভিনন্দন বর্তমান-এর মিগ ২১ যুদ্ধবিমান। প্যারাসুটের মাধ্যমে নিজেকে ভেঙে পড়া যুদ্ধ বিমান থেকে বের করে আনেন অভিনন্দন। কিন্তু, পাক সেনা তাঁকে গ্রেফতার করে। পাক সেনার হেফাজতে তাঁকে প্রথমে ব্যাপকভাবে মারধর করা হয়। এরপর শুরু হয় মানসিক নির্যাতন। অভিনন্দন বর্তমানের উপর অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। অবশেষে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-এর হস্তক্ষেপে মুক্তি পান অভিনন্দন। ২৮ ফেব্রুয়ারি-র রাতে অভিনন্দন বর্তমান-কে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে তুলে দেয় পাকিস্তান।