প্রখর তাপে মৃত্যু হতে পারে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের, তথ্য ঘিরে চাঞ্চল্য
- সবচেয়ে উষ্ণতম রাজ্য পঞ্জাব
- এই রাজ্যে গরমকালে গড় তাপমাত্রা থাকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
- ভবিষ্যতে দেশের ১৬টি রাজ্যের তাপমাত্রা পঞ্জাবের চেয়ে বেশি থাকবে
- বাড়বে প্রখর গরমের দিনগুলির সংখ্যাও
নতুন একটি গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য, এই গবেষণায় ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে আগামী শতাব্দীতে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ যদি বর্তমান সময়ের মত অব্যাহত থাকে তবে প্রখর তাপের কারণে প্রাণ হারাবেন দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
টাটা সেন্টার ফর ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের সঙ্গে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট ল্যাবের যৌথ গবেষণায় দাবি করা হয়েছে ২১০০ সালের মধ্যে ভারতের গড় বার্ষিক তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি বৃদ্ধি পাবে।
ভারতের ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে উষ্ণতম রাজ্য পঞ্জাব, এই রাজ্যে গরমকালে গড় তাপমাত্রা থাকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গবেষণা বলছে অবস্থান অনুযায়ী দেখতে গেলে ভবিষ্যতে দেশের ১৬টি রাজ্যের তাপমাত্রা বর্তমানে পঞ্জাবের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি থাকবে।
তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে প্রখর গরমের দিনগুলির সংখ্যাও, বাড়বে তাপপ্রবাহের মাত্রাও। সবচেয়ে বাড়বে ওড়িশায়, ২০১০ সালে যেখানে প্রখব গরমের দিন ছিল গড়ে ১.৬২ সেটা ২০১০ সালে গড়ে বেড়ে দাঁড়াবে ৪৮.০৫। দিল্লিতেও প্রখব দাবদাহের দিন সংখ্যা ২২ বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, আর হরিয়ানার ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ২০ বেশি হবে বলেই অনুমান।
গবেষণা বলছে প্রখর গ্রীষ্ম এবং দাবদাহের কারণে ২১০০ সালের মধ্যে প্রতিবছর মৃত্যু হবে ১৫ লক্ষ।
তাপপ্রবাহের ফলে অনুমান সাপেক্ষ এই মৃত্যু হার বর্তমানে ভারতে সংক্রমণে মৃত্যুর হারের থেকে বেশি।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এই মৃত্যু মিছিলে অর্দ্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা থাকবে দেশের ছয় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের।