এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি আরিফ মহম্মদ খান, হিজাব থেকে বোরকা-কোরান নিয়ে অকপট
সরকারগুলি নিয়ম এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী লোকদের সামনে মাথা নত করত, কিন্তু বর্তমান সরকার মাথা নত করছে না, তাই দেশের এই রক্ষণশীল ইস্যুগুলো সামনে চলে আসছে। এমনই বললেন আরিফ মহম্মদ খান (ArifMohammadKhan)। কেরলের রাজ্যপাল-এর মতে পরিবর্তন প্রয়োজন (Kerala Governor)। অতীতে, মেয়েদের এবং মহিলাদের মাটির নীচে চাপা দেওয়া হত। এখন তাদের চাপা দেওয়া হয় পর্দা এবং তিন তালাকের মতো নিয়মের নীচে।
কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান (ArifMohammadKhan) বলেন, আগের সরকারগুলি নিয়ম এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী লোকদের সামনে মাথা নত করত, কিন্তু বর্তমান সরকার মাথা নত করছে না, তাই দেশের এই রক্ষণশীল ইস্যুগুলো সামনে চলে আসছে। এর পরিবর্তন প্রয়োজন (Kerala Governor)। অতীতে, মেয়েদের এবং মহিলাদের মাটির নীচে চাপা দেওয়া হত। এখন তাদের চাপা দেওয়া হয় পর্দা এবং তিন তালাকের মতো নিয়মের নীচে। এদিন আরিফ খান বলেন শিক্ষার্থীরা ড্রেস কোড সম্পর্কে সচেতন থাকা অবস্থায় জেনেশুনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছে, হঠাৎ করে এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে পারে না। এই ধরণের ঘটনা কিছু রাজনৈতিক ও গোপন উদ্দেশ্য সফল করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। তাঁর মতে এই ইস্যু কোনও জটিল ব্যাপার নয়। একে জাতীয় স্তরে ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হিজাবকে নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অনাবশ্যক। এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। নতুন ভারতের স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ করে মেয়েরা দারুণ পারফর্ম করছে। অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতো মুসলিম মেয়েদের পারফর্ম্যান্সও খুব ভালো। একটা ক্ষুদ্র অংশের মানুষ রয়েছে, যারা এর আগে তিন তালাক প্রথা চালু রাখতে চেয়েছিল। এই অবস্থায় তারা স্কুল-কলেজে সফল মুসলিম মেয়েদের সম্পর্কে প্রচার করছে, যে যারা স্কুল-কলেজে যায় তারা মুসলিম সম্প্রদায়ে জন্য, ধর্মের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। হিজাবকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি করে তারা, মুসলিম মেয়েদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। এতে করে তাদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনার ক্ষতি হবে। এতে মুসলিম মেয়েদের পড়াশোনা করার উৎসাহও কমে যাবে। ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই তারা বন্দি হয়ে যাবে।