বিনিয়োগের অভাবে ধুকছে বড়জোরা শিল্পাঞ্চল, ভোটের হাওয়া দামোদরের তীরের এই শিল্পনগরী কী বলছে
- গত এক দশকে হাল খারাপ বড়জোরা শিল্পাঞ্চলের
- নতুন কোনও বিনিয়োগ আনতে পারেনি সরকার
- এমনকী পুরনো কারখানাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে
- তৃণমূলের দাবি বড়জোরা শিল্প হয়েছে যথেষ্টই
বাঁকুড়া গা ঘেঁষেই দুই শিল্প বৃহৎ শিল্পতালুক- একদিকে আসানসোল, অন্যদিকে দুর্গাপুর। দামোদর কে ভিত্তি করে যদি শিল্পনগরী এবং কয়লা উত্তোলনের শিল্প হতে পারে, তাহলে বাঁকুড়ায় কেন হবে না? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নেয় বড়জোরা শিল্পাঞ্চল। আশা করা গিয়েছিল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই শিল্পতালুকও অসংখ্য মানুষের রুটি-রুজির ভিত্তি হয়ে ওঠবে। কিন্তু, গত এক দশকে বড়জোরা ক্রমশই শিল্প হারিয়েছে। বন্ধ হয়েছে একাধিক কারখানা। কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য শ্রমিক। এদের মধ্যে অধিকাংশকেই খুঁজে নিতে হয়েছে বিকল্প কর্মসংস্থান। কেউ বাড়ি বাড়ি দুধ বিক্রি করছেন, অথবা কেউ ফুটপাতে হকারি করছেন। অনেকে আবার পাড়ি দিয়েছেন ভিন রাজ্যে। তৃণমূল সরকার বড় করে ঘোষণা করেছিল যে বড়জোরা আইটি হাব তৈরি করা হবে। কিন্তু ওয়েবেলের নামে সেই আইটি হাব তৈরি হলেও সেখানে তেমন কোনও বড় সংস্থার অফিসই নেই। এমনকী, আইটি হাবের নামে যে বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে তার অবস্থাও দুর্দশায় ভরা। এই আইটি হাবের যাওয়ার কোনও সুনিদিষ্ট রাস্তা নেই। অধিকাংশটাই হয় মাটির কাঁচা রাস্তা অথবা আধখাওয়া পিচ রাস্তা। বড়জোরা শিল্পতালুককে যারা গড়ে তুলেছিল সেই সিপিএম-এর অভিযোগ, শিল্প বিনিয়োগে পুরোপুরি ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর আইটি হাব তাঁদের মতে একটা প্রহসন। কারণ, তাঁদের আরও অভিযোগ, এই তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুকে কোনও পেশাদার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা নেই। কিছু ছেলে-মেয়ে যারা কলেজে কম্পিউটার নিয়ে পড়াশোনা করে, তাদের ইনটার্নশিপের জন্য এই হাব ব্যবহৃত হয়। তাঁদের অভিযোগ, পুরোপুরি একটি অপেশাদারিত্ব দেখিয়ে বড়জোরা শিল্পতালুকের গলা টিপে ধরা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাদের তোলাবাজির জন্য অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেও সিপিএম নেতাদের অভিযোগ।