চা-ঐতিহ্যে জলপাইগুড়ির বুকে অভিশাপ বন্ধ নীলামকেন্দ্র, শাপমোচনে লড়ছে প্রতাপ রাউত
চা-নিলামকেন্দ্র। জলপাইগুড়িতে ভোটে এবার এটাই সবচেয়ে বড় ইস্যু। আর এই ইস্যুতে যে যুবককে জলপাইগুড়ির মানুষ সমর্থন করছেন তাঁর নাম প্রতাপ রাউত। যদিও, প্রতাপ এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে সরাসরি নাম লেখাননি বলেই দাবি করেছেন।
বন্ধ চা-নিলামকেন্দ্র খুলতে লড়ে চলেছেন প্রতাপ রাউত। জলপাইগুড়ির বছর ৩৫-এর যুবকের লড়াই এতটাই শক্তিশালী হয়েছে যে তিনি আশা করছেন নির্বাচন মিটলেই হয়তো খুলে যেতে পারে চা-এর নিলামকেন্দ্র। এই চা-নিলামকেন্দ্র এই মুহূর্তে বাংলা-র নির্বাচনেও জলপাইগুড়ির বুকে একটা ইস্যু। বাংলা শুধু নয় ভারতের চা-উৎপাদনের মানচিত্রে জলপাইগুড়ি একটা উজ্জ্বল নাম। দেশের অধিকাংশ চা-তৈরি সংস্থার সদর দফতর জলপাইগুড়িতে। কিন্তু যে চা-শিল্পকে ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে জলপাইগুড়ি, সেখানে চা-নিলামের কোনও সুবিধাই নেই। দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে চা-নিলামকেন্দ্র এই শহরে চালু করা গেলেও, তা কয়েক বছরের মধ্য়েই বন্ধ হয়ে যায়। কারণ এখানে চা-নিলামের জন্য সংস্থাগুলিকে সেভাবে উদ্ভুদ্ধ করা হয়নি বলে অভিযোগ। সবসময়েই চেষ্টা হয়েছে শিলিগুড়ির চা-নিলামকেন্দ্রের গুরুত্বকে বজায় রাখতে। এর জন্য টি-বোর্ড এবং তাতে থাকা একশ্রেণির চা-ব্যবসায়ীদের দিকে আঙুল উঠেছে। প্রতাপ ,রাউতের অভিযোগ, জলপাইগুড়ি চা-নিলামকেন্দ্রে যে ই-অকশন হয় সেই তথ্য পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নেই। টি-বোর্ড তাহলে এতদিন ধরে কী করছিল, সে প্রশ্নও তুলেছেন প্রতাপ।