১৪ মার্চ মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক কালো দিন, রক্তে রাঙা ভাঙাবেড়া থেকে বিশেষ প্রতিবেদন

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এর প্রাকপর্বে নন্দীগ্রামের বুকে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা, নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের ফেলে আসা ১২ বছরের যাত্রাপথের সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ চলল ভোটের উত্তাপের
 

/ Updated: Apr 01 2021, 06:52 AM IST

Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ। নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ার বুকে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৪ জন কৃষক। এরসঙ্গে আহত হয়েছিলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের উপরে নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল নন্দীগ্রামে। পুলিশ অভিযান করা হয়েছিল নন্দীগ্রামের বুকে চলা জমি আন্দোলনের নেতাদের ধরপাকড় করা এবং সেইসঙ্গে মানুষের আস্থা ফেরানো। কিন্তু, উল্টে পুলিশের গুলি চালানোর মতো হঠকারি সিদ্ধান্ত তৎকালীন বাম সরকারকে নন্দীগ্রামের বুক থেকে আরও দূরে সরিয়ে দেয়। যে বাম সরকার নিচুতলার মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিত, সেই বাম সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা পুলিশে ১৪ মার্চ ২০০৭ সালে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে দেয়। বলতে গেলে এই ঘটনা নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে এক অসামান্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। যাকে ছোয়ার মতো সাধ্য তৎকালীন রাজ্য সরকারের ছিল না। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হাজির হয়েছিল সেই ভাঙাবেড়া ব্রিজের উপরে। এই ব্রিজের উপর দিয়ে সেদিন নন্দীগ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। বলতে গেলে নন্দীগ্রাম বিধানসভার উপরে এবার নজর রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতির। কারণ, নন্দীগ্রাম ফের একবার ঠিক করে দিতে চলেছে রাজ্য রাজনীতির গতিপথ। আর সেই সঙ্গে জাতীয় রাজনীতি-তে মোদী বিরোধী হাওয়ার আপাত ভবিষ্যত কী হবে তাও ঠিক করে দেবে নন্দীগ্রাম। ২০০৭ সালে জমি আন্দোলনকে হাতিয়ার করে এক রক্তাক্ষয়ী সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছিল নন্দীগ্রাম। প্রায় ২ বছর অবরুদ্ধ ছিল গোটা এলাকা। গণআন্দোলনকারীদের বিদ্রোহ নাড়িয়ে দিয়েছিল তৎকালীন বাম সরকারের ভিত। গণআন্দোলনকারীদের হয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামেদের থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে বেশি মানব এবং কৃষক দরদি বলে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আর এই নন্দীগ্রাম আন্দোলনের হাত ধরেই ২০১১ সালে ক্ষমতা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন ৩৪ বছরের বাম শাসনকে। সেদিন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান সেনাপতি হিসাবে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু , যে শুভেন্দু এককালে ছিলেন মমতার সেনাপতি আজ তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় পথের কাঁটা। কারণ, নন্দীগ্রাম বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শুভেন্দু। তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি এই আসনে মমতাকে হারানোর স্বপ্ন দেখছে। কী হবে নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক ভবিষ্যত, তা জানতে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা ঢুকে পড়েছিলে এলাকার অন্দরমহলে।