তল্লাশির নামে লুঠের অভিযোগ, সাসপেন্ড কালিয়াচক থানার ৩ পুলিশকর্মী
মালদহ-এর কালিয়াচক থানার তিন পুলিশকর্মী সাসপেন্ড। এক এএসআই এবং দুইজন কনস্টেবল সাসপেন্ড। তল্লাশির নামে ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠের অভিযোগ। নগদ টাকা ও গয়না লুঠের অভিযোগে সাসপেন্ড ৩ পুলিশ কর্মী।
মালদহ-এর কালিয়াচক থানার তিন পুলিশকর্মী সাসপেন্ড। এক এএসআই এবং দুইজন কনস্টেবল সাসপেন্ড। তল্লাশির নামে ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠের অভিযোগ। নগদ টাকা ও গয়না লুঠের অভিযোগে সাসপেন্ড ৩ পুলিশ কর্মী। অস্ত্র রয়েছে বলে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। কর্তব্যে গাফিলতির গুরুতর অভিযোগ ওই তিন পুলিশকর্মী বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তে চূড়ান্ত গাফিলতি মেলায় সাসপেন্ড বলে জানালেন মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) আনিস সরকার। এএসআই পীযুষ মণ্ডল, কনস্টেবল আশীষ দে এবং রাজকুমার ঘোষকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত। কালিয়াচক থানার আইসি সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই গভীর রাতে অস্ত্র রয়েছে বলে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর জন্য যান ওই পুলিশকর্মীরা। অস্ত্র না পেলেও নগদ টাকা এবং বেশকিছু গয়না বাড়ি থেকে নিয়ে বেরোনোর অভিযোগ কর্তব্যরত পুলিশের বিরুদ্ধেই। বাড়ি থেকে টাকা ও গয়না নিয়ে এলেও কোনওরকম সিজার লিস্ট করা হয়নি। ঘটনা ঘিরে হইচই শুরু হওয়ায় বুধবার সকালে কালিয়াচক থানার আইসি-কে বিষয়টি জানান অভিযুক্তরা। এভাবে অভিযান চালানো নিয়ে পুলিশের তদন্তকারীদের প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ওই বাড়ি থেকে টাকা ও গয়না নিয়ে বের হয় পুলিশ। কিন্তু, বাইরে এসে বাড়ির মালিকই টাকা ও গয়নার ব্যাগ পুলিশের কাছে ফের ছিনিয়ে নেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন অভিযুক্ত পুলিশ এএসআই। ফলে টাকাও গয়নার কোন হদিশ মেলেনি। কিন্তু, কেন এভাবে গোপনে অভিযান তার কোনও উত্তর মেলেনি। সাসপেন্ড করার পাশাপাশি ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।