আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল লিঙ্ক করার জন্য গঙ্গাজল কিনতে বাধ্য করার অভিযোগে বিক্ষোভ
আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল লিঙ্ক করাতে কিনতে হবে গঙ্গাজল। খবর পেয়ে ডাকঘরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীরা। পোলবা-দাদপুর ব্লকের গোস্বামী মালিপাড়া গ্রামের ঘটনা। আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল লিঙ্ক করাতে লাগে পঞ্চাশ টাকা। ৩০ টাকা দিয়ে তার সঙ্গে কিনতে হচ্ছে গঙ্গাজল। এমনটাই অভিযোগ জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। ডাকঘরের সহকারী সুপার কথায় গঙ্গাজল কেনা বাধ্যতামূলক নয়।
পোলবা-দাদপুর ব্লকের গোস্বামী মালিপাড়া গ্রামে ডাকঘরে আধার কার্ডে মোবাইল নম্বর সংযুক্তিকরনের কাজ চলছে।গ্রামবাসীদের অভিযোগ সেখানে আধারে মোবাইল সংযুক্তি করনের জন্য পঞ্চাশ টাকা আর ২৫০ মিলি লিটার গঙ্গাজলের জন্য ত্রিশ টাকা মোট আশি টাকা নেওয়া হচ্ছে।গঙ্গাজলের জন্য কোনো রসিদও দেওয়া হচ্ছে না।পোস্ট মাস্টার অসীম চক্রবর্তীকে সে বিষয়ে এক যুবক অভিযোগ করলে তার আধার কার্ড আটকে রাখা হয়।এই কথা জানতে পেরে আজ তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ডাকঘরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।চাপের মুখে পোস্ট মাস্টার বলেন, আমাদের গঙ্গাজল বিক্রি করতে বলা হয়েছে।তাই যারা ডাকঘরে আসছেন তাদের বলা হচ্ছে গঙ্গাজল কিনতে।কাউকে জোর করা হয়নি। তৃনমূলের জেলাপরিষদ সদস্য মনোজ চক্রবর্তীর অভিযোগ, আধার কার্ড নিয়ে অনেক হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে সাধারন মানুষকে।কখনো বলছে মোবাইল নম্বর যুক্ত করো কখনো বলছে ব্যাঙ্কের একাউন্টে যুক্ত করো।কাজ কর্ম ফেলে মানুষ ডাকঘরে ছুটে আসছে এবার গঙ্গাজল কিনতে বাধ্য করছে।এরই প্রতিবাদ জানাচ্ছে তৃনমূল।বিজেপি হুগলি যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, হরিদ্বারের গঙ্গার জল বোতল বন্দী করে ডাকঘরের মাধ্যমে বিক্রি করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।ত্রিশ টাকা করে তার দাম।কাউকে জোর করা হচ্ছে না।তৃনমূল কি চাইছে ডাকঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মহুয়া মদ বিক্রি করা হোক। হুগলি মুখ্য ডাকঘরের সহকারী সুপার গীতা বার্লা জানান ডাকঘরে গঙ্গাজল পাওয়া যাচ্ছে তবে কোনো গ্রাহককে তা বাধ্যতা মূলক ভাবে কিনতে হবে এমনটা বলা হয়নি।