রাস্তা আটকে মহিলার ওপর হামলা, অভিযোগ মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে
রাস্তা আটকে মহিলার ওপর হামলা। ঘটনায় গুরুতর আহত মহিলার বাবাও। মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ। গোবরডাঙা স্টেশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘটে এই ঘটনা। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে সেখানে।
গোবরডাঙা স্টেশন থেকে মেদিয়ার সুভাষনগরে বাড়ি ফেরার পথে হামলার স্বীকার এক মহিলা এবং তাঁর বাবার ওপরে হামলা। বুধবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মেদিয়া এলাকায়। ধারালো দা দিয়ে বুকে ও গলায় আঘাত করা হয়। জানা গিয়েছে স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত মেদিয়া সুভাষ নগরের বাসিন্দা লক্ষ্মী পন্ডিত। কলকাতা থেকে বিউটি পার্লারের কাজ করে প্রতিদিনের মত ট্রেনে করে রাত সওয়া এগারোটা নাগাদ গোবরডাঙা স্টেশনে পৌঁছয়। সেখান থেকে ভ্যানে করে মেদিয়া মোড়ে এসে নামে। এরপর তার বাবার সঙ্গে কিছুটা হেঁটে বাড়িতে যায়। বুধবার রাতেও ভ্যান থেকে নেমে ওখানে অপেক্ষারত তাঁর বাবার সঙ্গে বাড়িতে ফিরছিল সো। তখন আচমকাই বাইকে করে এসে পথ আটকায় সমীর কুমার দাস নামে বনগাঁর বাসিন্দা এক ব্যক্তি। সমীরের সঙ্গে অন্য এক ব্যক্তি ছিল, সে বাইকে বসেছিল। সমীর তার হাতে থাকা দা দিয়ে আচমকাই লক্ষ্মীর ওপর হামলা করে, তাঁর গলায় দা দিয়ে কোপ মারে। বাধা দেয় লক্ষ্মীর বাবা দিনোনাথ পন্ডিত। তাঁর বুকে ও হাতে আঘাত করা হয়। এরপর আহতদের চেঁচামেচিতে সমীর ও সঙ্গে থাকা যুবক পালিয়ে যায়। আক্রান্ত দিনোনাথ ও তার পরিবার জানিয়েছে সমীর বিবাহিত তার দুই সন্তান রয়েছে। লক্ষ্মীরও প্রথম বিয়ে বছর তিনেকের পর ছিন্ন হয়ে যায়। তাই একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকছিল। বছর সাতেক আগে সমীরের সঙ্গে লক্ষ্মীর আলাপ হয়। এরপর দু'জনে বিয়ে করে মেদিয়ার সুভাষনগরে কিছুদিন ছিল। পরে লক্ষ্মী ও সমীর কাজের সুবিধার্থে দুর্গানগর ভাড়া বাড়িতে থাকত। সম্প্রতি দু'জনার মনোমালিন্য হওয়ায় লক্ষ্মী বাপের বাড়িতে চলে আসে। সেই আক্রশ থেকেই হামলা বলে মনে করছে পরিবার। আহত লক্ষ্মী ও তার বাবাকে পরিবারের লোকেরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে গভীর রাতেই বারাসাতে স্থানান্তরিত করা হয় ।