সন্ধ্যার আলোয় পশ্চিমবঙ্গের ভূখণ্ডে ২০টি বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দিল বিহার পুলিশ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস
বাংলা-বিহার সীমানায় বিহার পুলিশের দৌরাত্ম। বুলডেজার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ঢুকে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর অভিযোগ উঠল বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি শুক্রবার সন্ধ্যায় মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিহার সীমানাবর্তী গ্রাম সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের সহরাবহরা গ্রামে।
বাংলা-বিহার সীমানায় বিহার পুলিশের দৌরাত্ম। বুলডেজার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ঢুকে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর অভিযোগ উঠল বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি শুক্রবার সন্ধ্যায় মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিহার সীমানাবর্তী গ্রাম সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের সহরাবহরা গ্রামে। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। অভিযোগ, যেখানে বিহার পুলিশ বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করেছে তা আসলে সরকারি জমি। এই জমিতে অন্তত ৭০ বছর ধরে বসবাস করছে কিছু পরিবার। এই জমির পিছনেই রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা গণেশ প্রামাণিকের। দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি জমি থেকে এই পরিবারগুলিকে ওঠানোর জন্য চাপ দিচ্ছিলেন গণেশ প্রামাণিক।
জানা গিয়েছে অন্তত ২০টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কুমেদপুর পুলিশ ফাঁড়ি এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানেরও। পঞ্চায়েত প্রধান ইন্দ্রজিৎ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাফ জানান ঘটনাটি বিহার পুলিশের, এর সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। যেখানে বিহার পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে তা আসলে পশ্চিমবঙ্গের অংশ বলেও স্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও সংযোগ রয়েছে তা মানতে চায়নি তৃণমূল। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি সাংসদ খগেন মূর্মূ। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের কথা হয়। বিষয়টি নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সঙ্গেও কথা বলেন। গোটা ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিহার পুলিশের উপর দায় চাপান। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি সঞ্জয় দাস। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গণেশ প্রামাণিকের বিহারে যাতায়াত রয়েছে। সেই সূত্রে বিহারের কিছু পুলিশের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। তাদেরই সাহায্যে ২০টি পরিবারের ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।