সত্যি সত্যি কি দ্বিতীয় বিবাহ শালতোড়ার বিধায়কের, চন্দনা যদিও সব দাবি-কে নসাৎ করে বলছেন 'পারিবারিক বিবাদ'
আসল গল্পটা তাহলে কী! ওদিকে কৃষ্ণ কুণ্ডুর কোনও খোঁজ নেই- ফোন বেজে গেলেও ধরছেন না। অন্যদিকে শালতোড়ার বিধায়ক ফেসবুক লাইভ করে তাঁর বিরোধী রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত বলে পাল্টা অভিযোগ করে চলেছেন।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বলছে তিনি নিখোঁজ। আর তাঁর দাবি ওসব কুৎসা- কান না দেওয়াই ভালো! শালতোড়ার বিধায়ক যদি নিখোঁজ হন- তাহলে তিনি থানায় কেন? গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় হাজির সংবাদমাধ্যম। আসলে সংবাদমাধ্যমেরও কাজ নেই। সারাক্ষণ মৌমাছির মতো তাড়া করলে হয়! দেখা গেল একমাথা ঘোমটা টেনে শালতোড়ার বিধায়ক সটানে সাদা গাড়ির ভিতরে। আর ঘোমটা টানা শালতোড়ার বিধায়কের পাশে স্বামী-মুখে এমন করে মাস্করূপী মুখোশ টেনে রেখেছেন-চেনার ঠাহর নেই। সাংবাদিকরা দৌঁড়ছেন ও -দিদি- ও দাদা বলে। কে বলবে রাজনীতিকবিদরা পাগাড়পারের দৌঁড় দিতে পারেন না! মুহূর্তে হাওয়া শালতোড়ার বিধায়ক এবং তাঁর স্বামী। হল টা কি? ততক্ষণে কাহিনি মে মোর টুইস্ট। সংবাদমাধ্যমের হাতে একটা ছবি- একমাথা সিঁদূর-নতুন শাড়ি পরে- কেউ বলছেন ও-মা- একি! কত সাহস! এই না বিধায়ক হল- শালতোড়ার মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে। ঘরে স্বামী-সন্তান! তারপরে দ্বিতীয় বিবাহ- এমন বলে ততক্ষণে চিল-চিৎকার জুড়েছে বিরোধীরা। তাঁদের আরও দাবি ওই ছবি-তে যিনি পাশের জন তিনি তো এই দ্বিতীয় বিবাহের পাত্র। বলেন কি! এনার পরিচয়! সটানে হাজির নাম-পরিচয়- কৃষ্ণ কুণ্ডু- শালতোড়ার বিধায়কের গাড়ি চালক! অ্যাঁ- এ আবার কেমন কথা- বিরোধীদের দাবি- আরে ওই তো নির্বাচনটাই যত নষ্টের গোড়া- সব ইন্টু-মিন্টু ওই চলতে চলতেই হয়ে গিয়েছে- আরে দাদা প্রেমে মজিলু মন কিবা হাড়ি কি বা ডোম কেস! ফের ছুট সংবাদমাধ্যমের- ওরে বাবা এ কেমন বিধায়ক রে- সাংবাদিকদের গলায় কাতর আর্তনাদ। ক্যামেরা অন হতেই শালতোড়ার বিধায়ক বলেই দিলেন - আরে ওসব কুৎসা, পারিবারিক সমস্যা নিয়ে নোংরা রাজনীতি হচ্ছে। তাহলে থানা! আরে বাবা থানায় মধ্যস্থতায় ঠিক করে নিয়েছি-বুঝলেন না- সটানে বলে দিলেন শালতোড়ার বিধায়ক। এমন বয়ান পাওয়ার পরও মিডিয়ার আত্মার শান্তি হয় না। নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না- চল তো তাহলে কৃষ্ণ কুণ্ডুক বাড়িতে। ওরে বাবা- একি কৃষ্ণ-র স্ত্রী-র বলছে তাঁকে নাকি বাপের বাড়িতে রেখে আসার কথা বলেছিল। ভোররাতে নাকি শালতোড়ার বিধায়কের ভাই ফোন করে জেলে পোরার হুমকি দেন, বাকি কথা রূম্পা কুণ্ডুর মুখ থেকেই শোনা যাক। আসল গল্পটা তাহলে কী! ওদিকে কৃষ্ণ কুণ্ডুর কোনও খোঁজ নেই- ফোন বেজে গেলেও ধরছেন না। অন্যদিকে শালতোড়ার বিধায়ক ফেসবুক লাইভ করে তাঁর বিরোধী রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত বলে পাল্টা অভিযোগ করে চলেছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন মিটতেই চারিদিকে হই-রইরই হয়েছে শালতোড়ার বিধায়ককে নিয়ে। যেভাবে শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয় পেয়েছেন তাকে কুর্ণিশ করেছে সকলে। তারপরে তিনি একজন সাধারণ দিনমজুর থেকে বিধায়ক হওয়ায় বাংলার বহু মানুষের কাছে তিনি প্রেরণা। আর তারপরে তো তিনি লাগাতার শিরোনামেই ছিলেন তাঁর এক অতি সৎ বয়ানে- যে তিনি বিধায়ক হিসাবে যে মাইনে পাবেন তা মানুষের কল্যাণে দান করে দেবেন। কিন্তু, শালতোড়ার বিধায়ক এখন নিজেই বলছেন সব খবর মিথ্যে, তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই নেই। নতুন অ্যাকাউন্ট খুললেও তাতে টাকা পড়েছে কি না জানেন না। সত্যিকারে কেউ বলবে- এই গল্পের মাথা কোথায় আর লেজটাই বা কোথায়- এ তো মনে ঘটনার ঘনঘাটা- আর ভুলভালাইয়া- তাহলে কি শালতোড়ার বিধায়কও রাজনীতির মারপ্যাঁচটা শিখে গেলেন। উত্তর মিলবে ভবিষ্যতে।