'১০ জনের মধ্যে ১ জন হয়ে থাকতে চাই না', প্রেম বিরহে কি শেষ বিদিশার জীবন
প্রেম ভালোবাসার এক গভীর চক্রে কি শেষ হয়ে গেল একুশ বছরের উঠতি মডেল ও অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের জীবন! এখন এমন প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বিদিশার বান্ধবীরা তেমনই দাবি করছে। তাঁদের অভিযোগ, অনুভব নামে একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিল বিদিশার।
প্রেম ভালোবাসার এক গভীর চক্রে কি শেষ হয়ে গেল একুশ বছরের উঠতি মডেল ও অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের জীবন! এখন এমন প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বিদিশার বান্ধবীরা তেমনই দাবি করছে। তাঁদের অভিযোগ, অনুভব নামে একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিল বিদিশার। এমনকী তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও ছিল। তবে অনুভবের আরও কিছু বান্ধবী ছিল। এই নিয়ে মনকষ্টে ভুগছিল বিদিশা। মঙ্গলবার ভোররাতে বান্ধবী দিয়াকে একাধিক মেসেজ পাঠিয়েছিল বিদিশা। যেখানে ছত্রে ছত্রে সে বলে গিয়েছিল অনুভব কে ছাড়া সে থাকতে পারবে না। তাঁকে সে প্রচণ্ড ভালোবাসে। কিন্তু অনুভবের ১০ বান্ধবীর মধ্যে ১ জন বান্ধবী হয়ে সে থাকতে চায় না বলেও দিয়াকে করা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে লিখেছিল বিদিশা। দিয়াকে ওই রাতে ফোনও করেছিল সে। দিয়া তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করেছিল। বিদিশা জানিয়েছিল যে সে অনুভব-কে বাবা-মা-র থেকেও বেশি ভালোবাসে। দিয়া জানিয়েছেন, ভোর ৪টের সময় শেষবার কথা হয়েছিল। কিন্তু বিদিশা গত কয়েক দিন ধরেই সমানে আত্মহত্যা করার কথা বলছিল। বিদিশার সত্যি সত্যি অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এটা বুধবার রাতে জানতে পেরে তড়িঘড়ি দিয়ারা ছুটে যান দমদমে। সংবাদমাধ্যমকে দিয়ারা জানান, বিশ্বাসই হচ্ছে না যে বিদিশা নেই। দিন কয়েক আগেও রাতভর জন্মদিনের পার্টি হল। নাচা-গানায় উৎফুল্ল হয়ে উঠেছছিল বিদিশা। সে আর নেই- ভাবতেই পারছেন না দিয়ারা। বিদিশার বান্ধবীরা আরও জানিয়েছেন যে, অনুভবকে তাঁরা ফোন করেছিলেন। বিদিশার মৃত্যু সংবাদের কথা শুনে কোনও দুঃখপ্রকাশই নাকি করেননি অনুভব। উল্টে নাকি বলেছেন যা করেছে ও করেছে। বিদিশার সঙ্গে ভালোবাসা থাকলেও যে ভালোবাসা বিদিশা নাকি চেয়েছিল সেটা তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না বলেও অনুভব জানায়। এমন দাবিও করেছেন বিদিশার বান্ধবীরা। সুইসাইড নোটে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা লিখে গিয়েছে বিদিশা। কিন্তু বিদিশা শরীরে কোনও ক্যানসারে জীবাণু ছিল না বলেই দাবি করেছেন তাঁর বান্ধবীরা। চোখে জল, মনের কোণে এক গভীর যন্ত্রণা, প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন দিয়ারা।