স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে পড়ে থাকা মৃতদেহ ঘিরে বিভ্রাট
স্টেশনে মৃতদেহ ঘিরে বিভ্রাট। ৪ ঘন্টারও বেশি সময় স্টেশনেই পড়ে থাকল দেহ। স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকল দেহ। শিয়ালদহ-বজবজ শাখার আকড়া স্টেশনের ঘটনা। পরে জিআরপিতে খবর দেওয়া হলে তারা চিকিৎসককে খবর দেয়।
শিয়ালদহ বজবজ শাখার আকড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে দীর্ঘক্ষন পরে রইল মৃতদেহ। স্টেশনমাস্টার থেকে শুরু করে পথচলতি মানুষ বা প্রশাসনের কোনও হেলদোলও দেখা যায়নি। মহেশতলা থানায় খবর দেওয়া হলেও বিষয়টি সম্পূর্ণ জিআরপির বিষয় হওয়ায় তারা কোনও কিছুই করতে পারেনি। এরপরেই জিআরপিতে খবর যায়। নড়েচড়ে বসে বিভিন্ন মহল। সকাল নটার সময় জিআরপির প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে আসলেও যেহেতু স্টেশনের উপরে মৃতদেহটি পড়েছিল তাই ডাক্তারি সার্টিফিকেট ছাড়া সেই দেহ কোনভাবেই নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিলনা। ৪ ঘন্টা বাদে স্থানীয় একটি ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মৃতের ডেথ সার্টিফিকেট করানো হয়। কিন্তু সেটি হাতে পাওয়ার পরও সমস্যা দেখা দেয় এই দেহ হস্তান্তর কাকে করা হবে তা নিয়ে। কারণ মৃত রাজু ঘোষ(৪২)-এর স্ত্রী ও তিন সন্তান বর্তমান হলেও তাদের কারও কাছেই কোন নাম ঠিকানার সরকারি নথি ছিলনা। কারণ বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে এখানে আসার পর শিয়ালদহ-বজবজ শাখার বিভিন্ন স্টেশনে থাকত এঁরা। এমনকি নির্দিষ্ট কোন রুজি-রুটিও এদের ছিল না। খবর যায় স্থানীয় তৃণমূল পুরো পিতা আতিবর রহমানের কাছে। তিনি ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তার নিজস্ব প্যাডে বালিগঞ্জ জিআরপিকে লিখিত অনুরোধ করেন যেন রাজু ঘোষ এর স্ত্রী পূজা ঘোষকে মৃত দেহ হস্তান্তর করে দেয়। পাশাপাশি রাজুর মৃতদেহ হস্তান্তরের পর শেষকৃত্যও তিনি নিজে দায়িত্ব নিয়ে আকরা শ্মশানে করবেন বলে জানান।