মায়ের খোঁজ নেই, অঙ্কিতা, শুভেচ্ছার মুখেভাত দিলেন জেলাশাসক, দেখুন ভিডিও

  • পশ্চিম মেদিনীপুরের সরকারি হোমে অন্নপ্রাসন
  • অন্নপ্রাসন হল অনাথ শিশুদের
  • মুখে ভাত দিলেন জেলাশাসক
  • জাঁকজমক করে হল অনুষ্ঠান
/ Updated: Jul 31 2019, 01:41 PM IST
Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

তিনজনের মধ্যে দু' জনই অনাথ। জন্মদাত্রী মা তাদের জন্ম দিয়েই উধাও হয়ে গিয়েছেন। বাকি একজনের মা থাকলেও সে আইনের চোখে দোষী। তিন সন্তানেরই ঠাঁই হয়েছে মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর বালিকা আবাসনে। আর সেখানেই মঙ্গলবার মহা ধুমধামের সঙ্গে তাদের তিন জনেরই মুখেভাত দেওয়া হল। শিশুদের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে আশীর্বাদ করতে হাজির ছিলেন খোদ জেলাশাসক রশ্মি কোমল, অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রতিমা দাস, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশ চন্দ্র বেরা, হোম সুপার সুদীপ্তা চক্রবর্তী থেকে শুরু করে অন্যান্য আধিকারিকরাও। তিন শিশুকন্যা অঙ্কিতা, শুভেচ্ছা ও অমৃতার অন্নপ্রাশনের আয়োজনে কোনও খামতি ছিল না। সরকারি এই হোমেপ্রথমবার অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান হল।  

সকাল থেকেই ৬ থেকে ৮ মাস বয়সি ওই শিশুদের অন্নপ্রাসনের অনুষ্ঠানকে ঘিরে আবাসিকদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছিল তুঙ্গে। সকাল থেকেই বেজে চলছিল সানাই। চন্দনের টিপ, রজনীগন্ধার মালা, নতুন কাপড়চোপড় পরিয়ে সাজানো হয়েছিল ওই তিন শিশুকে। মুখে ভাতের অনুষ্ঠানে শিশুদের পাতে পাঁচ রকমের ভাজা দিয়ে ভাত, ডাল, তরকারি, চাটনি, পাপড়, দই, মিষ্টি দিয়ে থালা সাজানো হয়েছিল। ছিল সুস্বাদু পায়েসও। অন্নপ্রাসনের অনুষ্ঠান উপলক্ষে বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছিল গোটা হোম। তিনজনের মধ্যে প্রথম অঙ্কিতা ও শুভেচ্ছা অনাথ। দু' জনেরই গত বছর ১ ডিসেম্বর জন্ম হয়েছিল। দু' জনেই বর্তমানে শিশু দত্তক গ্রহণ কেন্দ্রের বাসিন্দা। অঙ্কিতাকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং শুভেচ্ছাকে পুরুলিয়া জেলা হাসপাতাল থেকে এখানে আনা হয়। আর অমৃতার ঠাঁই হয়েছে তার মা অঞ্জলী কিষ্কুর দৌলতে। আসামী হলেও নাবালিকা হওয়ায় অঞ্জলীকে ঝাড়গ্রাম আদালত সরকারি হোমে পাঠিয়েছে। তখন সে ছিল গর্ভবতী। গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সে অমৃতার জন্ম দেয়।