সিবিআই-ইডিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই কয়লা খনিতে চলছে কয়লা লুট, ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি

দিন রাত এক করে চালছে কায়লা কান্ডের তদন্ত। একের পর এক নেতা মন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কয়লাকাণ্ডে কখন কাকে ডেকে বসে ইডি বা কার বাড়িতে পৌঁছবে সিবি আই তা কারোরই সঠিকভাবে জানা নেই। আর ঠিক এই সময়েই আসানসোলের ভানোরা খোলামুখ খনিতে খনিগর্ভে শাবল গাইতি নিয়ে চলছে কয়লা লুট। সিবিআই বা ইডি কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইস্টার্ন কলফিল্ড লিমিটেডের ভানোরা খোলামুখ খনিতে কাজ চলাকালীন অবৈধ ভাবে চলছে কয়লা কাটার কাজ। শুধু তাই নয়। খনিগর্ভে rat whole এ ঢুকে কয়লা কাটছে বহিরাগতরা। মাথার ওপর পাথর ও কয়লার চাই ঝুলছে। সেখানেই কয়লা কাটা হচ্ছে। বস্তায় ভর্তি করা হচ্ছে। খনি র বাইরে জমা করা হচ্ছে। তারপর কেউ মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ বা আবার পাচার করছে। না এমন কোনো ঘটনাই ঘটছে না। খনি আধিকারিক নাকি দেখতে পাচ্ছেন না। প্রথমে ক্যামেরার লেন্স হাত দিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করলেও পরে অবশ্য বলেছেন এমন ঘটনা নাকি ঘটেইনি। শুধু তাই নয়। ওপর এক আধিকারিক বলেন সিবিআই, ইডি হলে কি হবে ? চুরি রুখতে গেলে মার খেতে হবে। এই দায়িত্ব ইসিএল নিরাপত্তারক্ষী এবং সি আই এস এফ এর। তারা তো কেউ খনিতে নামে না। কখনো সখনো চিৎকার করে। হ্যাট হ্যাট করে। কয়লা চুরি হচ্ছেই। গোটা খনি জুড়ে কোনো নিরাপত্তা রক্ষী দেখা না গেলেও সরকারি অফিসার তথা ইসিএল এর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক অফিসার বলেন যে তিনি তো আছেন। কয়লা চুরির বিষয় বলতেই উল্টে সাংবাদিক কে প্রশ্ন করেন কোথায় চুরি হচ্ছে ? আবার নিজেই বলেন না না এসব কিছু হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, ই সি এল এর ভানোরা খোলামুখ খনির কয়লা উত্তোলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক বেসরকারি কোম্পানি কে। কিন্তু সরকারি সম্পত্তি লুটের প্রক্রিয়া আটকানোর দায়িত্ব রয়েছে সরকারি আধিকারিক দের ওপরেই। তা সত্ত্বেও প্রকাশ্য চলছে কয়লা চুরি। কয়লা খনিতে বৃষ্টির জল জমে যাওয়ায় সরকারি কাজ কিছুটা বন্ধ থাকলেও অবৈধ কয়লা উত্তোলন চলছে রমরমিয়ে। খনি অফিসের ম্যানেজার, সার্ভেয়ার, সুপার ভাইজার , ওভারম্যান, কাঁটা বাবু , নিরাপত্তা রক্ষী সবাই আছেন। এনারা সবাই সরকারি কর্মী। কিন্তু কেউ দেখতে পাচ্ছেন না কয়লা লুট হচ্ছে। 

/ Updated: Sep 16 2021, 12:49 PM IST

Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

দিন রাত এক করে চালছে কায়লা কান্ডের তদন্ত। একের পর এক নেতা মন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কয়লাকাণ্ডে কখন কাকে ডেকে বসে ইডি বা কার বাড়িতে পৌঁছবে সিবি আই তা কারোরই সঠিকভাবে জানা নেই। আর ঠিক এই সময়েই আসানসোলের ভানোরা খোলামুখ খনিতে খনিগর্ভে শাবল গাইতি নিয়ে চলছে কয়লা লুট। সিবিআই বা ইডি কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইস্টার্ন কলফিল্ড লিমিটেডের ভানোরা খোলামুখ খনিতে কাজ চলাকালীন অবৈধ ভাবে চলছে কয়লা কাটার কাজ। শুধু তাই নয়। খনিগর্ভে rat whole এ ঢুকে কয়লা কাটছে বহিরাগতরা। মাথার ওপর পাথর ও কয়লার চাই ঝুলছে। সেখানেই কয়লা কাটা হচ্ছে। বস্তায় ভর্তি করা হচ্ছে। খনি র বাইরে জমা করা হচ্ছে। তারপর কেউ মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ বা আবার পাচার করছে। না এমন কোনো ঘটনাই ঘটছে না। খনি আধিকারিক নাকি দেখতে পাচ্ছেন না। প্রথমে ক্যামেরার লেন্স হাত দিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করলেও পরে অবশ্য বলেছেন এমন ঘটনা নাকি ঘটেইনি। শুধু তাই নয়। ওপর এক আধিকারিক বলেন সিবিআই, ইডি হলে কি হবে ? চুরি রুখতে গেলে মার খেতে হবে। এই দায়িত্ব ইসিএল নিরাপত্তারক্ষী এবং সি আই এস এফ এর। তারা তো কেউ খনিতে নামে না। কখনো সখনো চিৎকার করে। হ্যাট হ্যাট করে। কয়লা চুরি হচ্ছেই। গোটা খনি জুড়ে কোনো নিরাপত্তা রক্ষী দেখা না গেলেও সরকারি অফিসার তথা ইসিএল এর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক অফিসার বলেন যে তিনি তো আছেন। কয়লা চুরির বিষয় বলতেই উল্টে সাংবাদিক কে প্রশ্ন করেন কোথায় চুরি হচ্ছে ? আবার নিজেই বলেন না না এসব কিছু হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, ই সি এল এর ভানোরা খোলামুখ খনির কয়লা উত্তোলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক বেসরকারি কোম্পানি কে। কিন্তু সরকারি সম্পত্তি লুটের প্রক্রিয়া আটকানোর দায়িত্ব রয়েছে সরকারি আধিকারিক দের ওপরেই। তা সত্ত্বেও প্রকাশ্য চলছে কয়লা চুরি। কয়লা খনিতে বৃষ্টির জল জমে যাওয়ায় সরকারি কাজ কিছুটা বন্ধ থাকলেও অবৈধ কয়লা উত্তোলন চলছে রমরমিয়ে। খনি অফিসের ম্যানেজার, সার্ভেয়ার, সুপার ভাইজার , ওভারম্যান, কাঁটা বাবু , নিরাপত্তা রক্ষী সবাই আছেন। এনারা সবাই সরকারি কর্মী। কিন্তু কেউ দেখতে পাচ্ছেন না কয়লা লুট হচ্ছে।