বুলবুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমফান মোকাবিলা, আর কী বললেন বঙ্কিম

  • কীভাবে গঙ্গাসাগর ও ঘোড়ামারা দ্বীপে আমফান ধ্বংস চালায়
  • কতটা বেগে ঝড় এসেছিল এই দুই দ্বীপের উপরে
  • ঝড়ের গতিতে কতটা লণ্ডভণ্ড অবস্থা ছিল এখানে 
  • এই সমস্ত বিষয় নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন বঙ্কিম হাজরা
/ Updated: Jun 09 2020, 10:41 AM IST
Share this Video
  • FB
  • TW
  • Linkdin
  • Email

ঘূর্ণিঝড় আমফানে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল গঙ্গাসাগর। ২০১৯ সালের শেষ দিকে গঙ্গাসাগরের বুকে একইভাবে আছড়ে পড়েছিল বুলবুল। সে সময়ও ভালোরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। গাছ পড়ে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গঙ্গাসাগর সে সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু, এবার শুরু থেকেই প্রশাসন এবং দ্বীপের বাসিন্দারা সতর্ক ছিলেন। তাই, ঝড় থামতেই সকলেই ঝাঁপিয়ে পড়েন উপড়ে যাওয়া গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করতে। এর ফলে প্রশাসন স্থানীয় মানুষের সাহায্য পেয়ে যায়। গাছ কাটার কাজ দ্রুত হতে থাকায় বিদ্যুত সংযোগ ফেরানোর কাজে নেমে পড়ে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। যার জেরে ২১ দুপুরের মধ্যে গঙ্গাসাগরের ৮০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ চলে আসে। এমনকি ওই দিন বিকেলের মধ্যে গঙ্গাসাগরের মেন রোডের উপর থেকে সমস্ত গাছ কেটে সরিয়ে ফেলার অভিযানটাও সফল হয়ে যায়। ফলে সাগরের সঙ্গে কচুবেড়িয়ার ভেসেল ঘাটের সংযোগ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুনরায় স্থাপন হয়। ।যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজের আরও একটা উদ্দেশ্য ছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের নির্বিঘ্নে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া। কারণ, ঝড়ের পিছন পিছন-ই গঙ্গাসাগরে ঢুকতে শুরু করেছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের দল। রাস্তার মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের গাড়ি যাতে আটকে না যায় সেটাও সুনিশ্চিত করাটা দরকার ছিল।