মহাদেশীয় কোটায় অলিম্পিকে যাচ্ছেন প্রণতি, উচ্ছ্বসিত পরিবার থেকে পরিজন
- ২৩ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে টোকিও অলিম্পিক
- তাতেই এবার জায়গা করে নিয়েছেন বাংলার প্রণতি
- মহাদেশীয় কোটায় অলিম্পিকে যাচ্ছেন প্রণতি নায়েক
- এই বঙ্গ তনয়া -র দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বাংলা
অধ্যাবসায় আর মনের জোড় যে মানুষকে কোথায় পৌঁছিয়ে দিতে পারে তা আরও একাবর প্রমাণ করে দিল পিংলার প্রণতি নায়েক। ভারতের একমাত্র জিমন্যাস্ট হিসাবে টোকিও অলিম্পিকে জায়গা করে নিয়েছে সে। তবে টোকিও যাওয়ার পথটা মোটেই সহজ ছিল না প্রণতির। ছেলে বেলা থেকেই জিমন্যাস্টিকের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে একটু একটু করে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়েছে সে। জিমনাস্টিকে দেশ-বিদেশের বহু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে একাধিক পদক জিতেছেন প্রণতি। তবে লক্ষ্য ছিল একটাই, অলিম্পিক। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে সে। অবশেষে ২০১৯ সালে এশিয়ান জিমনাস্টিক চাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতে জেলা, রাজ্য ও দেশকে গর্বিত করেছিলেন প্রণতি। কিন্তু ২০১৯ সালেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পেরে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তবে কোনও বাঁধাই দমাতে পারেনি তাঁকে, মনের জোড়ে কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রণতি। আর কথাতেই আছে, ভাগ্য সবসময় বীরের সঙ্গ দেয়। ঠিক তেমনই ভাবে মহাদেশীয় কোটায় টোকিও অলিম্পিকে যাওয়ার সুযোগ আসে ২৬ বছরের প্রণতি নায়েকে -র। অলিম্পিকে নিজের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্যে কলকাতায় বর্তমানে নিজের ট্রেনিং চালিয়ে যাচ্ছেন প্রণতি নায়েক। প্রণতির মা-বাবার বিশ্বাস মেয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। প্রণতির মা জানালেন তাঁর আশির্বাদ সর্বদাই মেয়ের সঙ্গে রয়েছে। পাশের বাড়ির মেয়েটা অলিম্পিকে খেলতে যাচ্ছে, গর্ববোধ হচ্ছে, জানালেন প্রণতি -র প্রতিবেশী বাসুদেব দাস মালাকার। শুধু প্রণতির আত্মীয়-স্বজন বা পাড়া প্রতিবেশীরাই নয় এই বঙ্গ তনয়া -র দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বাংলার মানুষ।