চামুন্ডা রূপে পূজিতা ৫০০ বছরের প্রাচীন কাঞ্চননগরের কঙ্কালেশ্বরী
পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাচীন কালীমন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম বর্ধমানের কাঞ্চননগরের কঙ্কালেশ্বরী। কালীপুজোর দিন আমাবস্যা তিথি মেনে পুজো হয় না এখানে। সন্ধ্যা বেলায় হয় মায়ের আরাধনা।
পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাচীন কালীমন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম বর্ধমানের কাঞ্চননগরের কঙ্কালেশ্বরী। কালীপুজোর দিন আমাবস্যা তিথি মেনে পুজো হয় না এখানে। সন্ধ্যা বেলায় হয় মায়ের আরাধনা। ছয় ফুটের কালো পাথরে খোদাই করা এই মূর্তি রয়েছে কাঞ্চননগরের পঞ্চরত্ন বিষ্ণু মন্দিরে। প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন এই পুজো। যাকে ঘিরে রয়েছে কাহিনী। শোনা যায় বাংলার ১৩২৩ সাল নাগাদ কমলাকান্ত নামে এক সাধক পায়ে হেঁটে ভারত ভ্রমণ করছিলেন। তিনি কাঞ্চননগরের এই মন্দিরে এক রাত্রি বাস করেছিলেন। সেই সময় এখানে কোন দেবী মূর্তি ছিল না। তিনি স্বপ্নাদেশ পান, দামোদরে একটি মূর্তি রয়েছে। এলাকার মানুষদের নিয়ে কমলাকান্ত সাধক সেখানে গিয়ে দেখেন, একটি পাথরের উপর ধোপারা কাপড় কাচছে। পাথরটি সোজা করতেই মূর্তিটি দেখা যায়। সেই পাথরের মূর্তি তুলে এনে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন থেকেই পুজো শুরু।আবার অনেকে বলেন, ১৯২৩ সালের বন্যায় পর দামোদরে বালির মধ্যে এই মূর্তি পাওয়া যায়।