২৪ জন বেয়ারার কাঁধে চেপে ভাসান হয় চন্দ্র বাড়ির মা দুর্গার, করোনা এসে এবার বদলাচ্ছে সেই নিয়মই
- কলকাতার বাড়ি ভাড়ার টাকায় দুর্গা পুজো হয় নবদ্বীপের চন্দ্র বাড়ির
- সেই সঙ্গে পুজোর চারদিন নাটমন্দির চলে পারিবারিক গান বাজনা
- তবে এবার করোনার কারণে বদলাচ্ছে পুজোর অনেক নিয়মই
- এক নজরে দেখে নিন পুজো নিয়ে কি বললেন চন্দ্র বাড়ির সদস্যরা
পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে অনেক দিনই, কারণ মহালয়া হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু দিন আগেই। তবে করোনা যেন ভুলিয়েই দিয়েছে পুজো আসছে। এখন আর মাত্র কটা দিনের অপেক্ষা আর তার পরেই পুজো। আর তেমনই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বনেদি বাড়িতেও। তাই এখন থেকেই উৎসবের মেজাজ নদিয়ার নবদ্বীপের চন্দ্র বাড়িতে। সেখানে পুজো হয় কলকাতার বাড়ি ভাড়ার টাকায়। পুজোর চারদিন নাটমন্দিরে চলে পারিবারিক গান বাজনা। বংশপরম্পরায় বৈষ্ণব মতে পুজো হয়ে আসছে সেখানে। বাংলা ১২৯০ সালে পূজার সূচনা হয় নীলমণি চন্দ্রের হাত ধরে। প্রায় ১৩৮ বছরের পুরনো এই পুজো। এখানে এক চালা দুর্গা প্রতিমা, মাটির সাজে সজ্জিত হন। দেবীর বাহন সিংহ এখানে নরসিংহ ঘোড়ার মত দেখতে। সুশোভনবাবু বলেন পুজোর দিনগুলোতে দেবীকে ভোগ হিসাবে নিবেদন করা হয় ২৪ টি লুচি, ২৪ রকমের ভাজা, ২৪ টি মিষ্টি অর্থাৎ যা কিছু ভোগ দেওয়া হবে তা সংখ্যায় ২৪ টি হতে হবে। এই নিয়মই সেখানে চলে আসছে বহু বছর ধরে। সেখানে আখ, চাল কুমড়ো বলি প্রথা থাকলেও এখন বলি না দিয়ে মা -কে উৎসর্গ করা হয় সব কিছুই, এমনটাই জানাচ্ছেন ওই পরিবারের সদস্য সুশোভনবাবু। এছাড়াও ভাসানের দিনও মা ২৪ জন বেয়ারার কাঁধে চেপে ঘাটে যান। তবে এবছর করোনার কারণে বদলাতে হচ্ছে অনেক নিয়মই। রথের দিন না হয়ে এবার পুজোয় মায়ের মূর্তি তৈরি শুরু হয়েছে উল্টো রথের দিন। এছাড়াও এবার ২৪ জন বেয়ারার পিঠে চেপে মায়ের যাত্রা করা হবে না। তবে বাঁধা থাকলেও মায়ের পুজো বন্ধ হচ্ছে না, আর সেই কারণে অনন্দেই আছেন পরিবারের সদস্যরা।