শতবর্ষের দোরগোড়ায় পঞ্চাননতলার সরস্বতী মন্দিরের পুজো
শতবর্ষের দোরগোড়ায় পঞ্চাননতলার সরস্বতী মন্দিরের পুজো। ১৯১৯ সালে রাজস্থান থেকে এই মন্দিরের মূর্তি আসে। সম্পূর্ণ শ্বেতপাথরের তৈরি এই সরস্বতী মূর্তি। ১৯১৯ সাল থেকেই এখানে সরস্বতীর নিত্য পুজো হয়ে আসছে। পরবর্তী সময়ে ১৯২৩ সালের ২৮শে জুন স্থাপিত হয় এই মন্দির।
পৌরাণিক মতে ভারতবর্ষ ৩৩কোটি দেবদেবীদের দেশ। আর সেই কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে বিভিন্ন দেবদেবীর অসংখ্য মন্দির। তবে গোটা দেশে হাতেগোনা কয়েকটি জায়গায় রয়েছে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর ঠাকুরের মন্দির। যার মধ্যে অন্যতম ও বাংলার প্রথম সরস্বতী মন্দির অবস্থিত হাওড়া পঞ্চাননতলায়। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের পঞ্চম প্রজন্মের সদস্য সৌমেশ চন্দ্র দাস জানাচ্ছেন ১৮শো শতাব্দীর শেষের দিকে হুগলি বাঁশবেড়িয়ার বাসিন্দা, হাওড়া জিলা স্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক স্বর্গীয় উমেশ চন্দ্র দাস বসবাস শুরু করেন হাওড়া পঞ্চাননতলায়। তার চার পুত্রের মধ্যে একজন রনেশ চন্দ্র দাস পিতার ইচ্ছে অনুসারে ১৯১৯ সালের ২০শে মার্চ রাজস্থান থেকে সম্পূর্ণ শ্বেতপাথরের তৈরি সরস্বতী দেবীর প্রতিমা নিয়ে আসেন হাওড়ার এই বাড়িতে। তারপর থেকেই শুরু হয় নিত্য পূজা। পরবর্তী সময়ে ১৯২৩ সালের ২৮শে জুন স্থাপিত হয় এই মন্দির। যা বাংলার প্রথম সরস্বতী ঠাকুরের মন্দির হিসেবেই দাবি পরিবারের সদস্যের। পারিবারিক সম্পত্তির থেকে প্রতিমাসে যে আয় হয় তা দিয়েই চলে মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ ও নিত্য পূজার খরচ। তার উপরে অতিরিক্ত কোনো খরচের প্রয়োজন হলে পরিবারের সদস্যরাই তা বহন করেন। প্রতিবছরই মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে সেজে ওঠে গোটা মন্দির। প্রথা অনুসারে একশো আটটা খুরিতে বড় বাতাসা দিয়ে দেওয়া হয় বিশেষ ভোগ। এইসময় এলাকার মানুষ ছাড়াও দূর-দূরান্তে থাকা আত্মীয়রাও উপস্থিত হন হাওড়া পঞ্চাননতলা বাড়িতে। সব মিলিয়ে বাংলার প্রথম সরস্বতী মন্দিরের নিয়ে গর্বিত পরিবারের সদস্য থেকে এলাকার মানষেরা।